রাজস্থানে কংগ্রেসের বিবাদ অব্যাহত। শচীন পাইলট আবারও সরব অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত দেখছেন বিজেপির বসুন্ধরা রাজে।
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজস্থানে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন দলেরই দুই শীর্ষ নেতা। একবার অশোক গেহলট, তো একবার শচীন পাইল। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে পুরোপুরি চালিয়ে খেললেন। তিনি সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়ে দেন , 'সনিয়া গান্ধী নন, বসুন্ধরা রাজেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেত্রী।'আর দুই নেতার বিবাদে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত দেখছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে।
কয়েক মাস ধরেই শচীন পাইলট দাবি করছেন আগের সরকারের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত হোক। অর্থাৎ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের সরকারের দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে গেহলটকে। কারণ কংগ্রেস দুর্নীতির তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু অশোক গেহলট তদন্তের নির্দেশ দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করেই যাচ্ছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী একটি সভায় বলেছেন, ২০২০ সালে বসুন্ধরা রাজে ও কৈলাস মেঘওয়ালের কারণে কারণে তাঁর সরকার বেঁচে গেছে। তিনি আরও বলেছেন বিজেপি এই দুই নেতাই তাঁর সরকারকে বড় ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিল। তা তিনি অস্বীকার করতে পারবেন না।
যাইহোক ২০২০ সালেই শচীন পাইলট কয়েক জন বিধায়ক নিয়ে অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। সেই সময় পাইলট দল বদল করতে পারেন এমনটাও শোনা গিয়েছিল। পাইলট যদি তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে বিজেপিতে যেতেন তাহলে গেহলট সরকারের পতন প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হস্তক্ষেপে পাইলট ঘরে ফেরেন। কিন্তু তারপর থেকেই অশোক গেহলটের সঙ্গে তাঁর যে দূরত্ব তা ক্রমশই বাড়তে থাকে। একাধিক অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে তাদের দেখা গেলেও একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েই যাচ্ছেন।
শচীন পাইলট কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ধর্না অবস্থানও শুরু করেছিলেন। রাজে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য নিজের দল কংগ্রেস সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন। যাইহোক, এবার শচীন পাইলট অশোক গেহলেটের বিরুদ্ধে পুরোপুরি চালিয়ে খেলেন। গেহলটের মন্তব্যের মাত্র এক দিন পরেই শচীন বলেন, 'ধোলপুরে অশোক গেহলটের মন্তব্য শোনার পরে মনে হচ্ছে তাঁর নেতা সনিয়া গান্ধী নন, বসুন্ধরা রাজে।' তিনি আরও বলেন, এই প্রথম তিনি কোনও কংগ্রেস নেতাকে নিজের দলের সাংসদ বিধায়কদের সমালোচনা করতে দেখেছেন। পাল্টা বিজেপি নেতাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখছেন। একজন কংগ্রেস নেতা অন্য কংগ্রেস নেতাদের সমালোচনা কী করে করতে পারে তা তাঁর বোঝার বাইরে বলেও জানান তিনি
তবে রাজস্থানের দুই কংগ্রেস নেতার বিবাদ যে বসুন্ধরা রাজের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তিনি বলেছেন, কংগ্রেস নেতাদের কথা মিথ্যা। তিনি আরও বলেছেন, গেহলটের প্রশংসার মধ্য তিনি চক্রান্ত দেখছেন বলেও জানিয়েছেন। রাজে বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস নেতাদের নিজেদের বিবাদের কারণে তাঁকে জড়িয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন।
আরও পড়ুনঃ
মমতার বক্তব্য মিথ্যা আর মানহানিকর, মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর
রাহুলের পর এবার বিজেপির নিশানায় সনিয়া, 'সার্বভৌমত্ব' বিবৃতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গেরুয়া শিবির