দুদিনের পশ্চিমবঙ্গ আর সিকিম সফরে রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার তিনি পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এ। সুকনা ওয়ার মেমোরিয়ালে নিহত সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে নাম না করে তিনি চিনের সমালোচনা করেন। রাজনাথ সিং বলেন ভারত সর্বদা তার প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলে। কিন্তু তাতে যদি কেই মনে করে ভারত দুর্বল তাহলে সেই দেশ ভুল করবে। দেশের অখণ্ডতা আর সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে সর্বদা মরিয়া প্রয়াস চালায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন ভারত আর চিনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা শেষ হোক। শান্তি ফিরে আসুক। এটাই চায় ভারত। কিন্তু ভারতীয় জওয়ানরা মাথা নিচু করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারত চিনের সঙ্গে প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নেয়। যার মধ্যে বড় অংশ পড়ে সিকিম আর অরুণাচল প্রদেশে।
রবিবার বিজয় দশমীর দিন রাজনাথ সিং সেনা বাহিনীর অস্ত্র পুজোও করেন। সুকনা ওয়ার মেমোরিয়ালে তিনি অস্ত্র পুজো করেন। আর সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধান এমএন নারাভানে। এদিন রাজনাথ সিং-এক সিকিম সফরেরও কথা রয়েছে। আর সেকানের নাথুলার সেনা ঘাঁটিতেও তিনি প্রথা মেনে অস্ত্র পুজো করবেন। চিন সীমান্ত থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে শস্ত্র পুজো করার কথা রয়েছে তাঁর। নবরাত্রিরর সময় দশেরর দিন প্রতি বছরই প্রথা মেনে ভারতীয় সেনা শিবিরে শস্ত্র পুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবার পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনার সঙ্গে চলমান বিবাদের জেরে রাজনাথের উপস্থিতিতে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই শস্ত্র পুজোর অংশ নিতে দেখা গেছে রাজনাথ সিংকে। কিন্তু এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং শক্রু শিবিরের কাছে গিয়েও তিনি শস্ত্র পুজোয় অংশ নেবেন বলেও সূত্রের খবর।
চিনার সঙ্গে বিদাদের পর থেকেই সীমান্তে রীতিমত জোরালো নজর দিতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। লাদাখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সফর করেছেন। সফর করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দুর্গাপুজোর সময়েও রাজনাথ সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে পশ্চিমবঙ্গ আর সিকিমের ফরোয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করলেন। কথা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত জওয়ানদের সঙ্গে। সুকনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় জওয়ানদের বিজয় দশমীর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।