লোকসভায় তিন তালাক বিল নিয়ে কথা বলার সময়ে বিজেপি নেত্রী রমা দেবীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করে বসেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। আর এরপরই লোকসভায় শুরু হয়ে যায় চরম হইচই। তাঁর করা মন্তব্য নিয়ে লোকসভায় বিস্তর কাটা-ছেঁড়া চলেছে। এদিন কেউ কেউ দাবি করেছিলেন তাঁকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে, অনেকে আবার তাঁকে লোকসভা থেকে অপসারণের দাবিও তেলেন।
কিন্তু এত কিছুর পরও ক্ষমা চাইতে রাজি হননি আজম খান। তাঁর দাবি ছিল, তিনি যদি অসংসদীয় কোনও মন্তব্য করে থাকেন তাহলে তার জন্য ইস্তফা দিতে প্রস্তুত তিনি। তবে রমা দেবীর কাছে তাঁর কোনও ক্ষমা নেই বলেই এদিন সাফ জানিয়ে দেন স্বয়ং রমা দেবীই। তিনি আরও জানান যে, আজম খান যদি আন্তরিকভাবেও তাঁর কাছে ক্ষমা চান তাহলেও তিনি তাঁকে কোননও দিনই ক্ষমা করতে পারবেন না।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রমা দেবী জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি ডেপুটি স্পিকারের পদে ছিলেন। সেই পদের কাছে সকলেই সমান বলে জানান তিনি। সেদিন তাঁর ওই বিতর্কিত মন্তব্যের পর তাঁকে কড়া কথা বলার ইচ্ছে ছিল রমা দেবীর, কিন্তু একমাত্র এই আসনের প্রতি সম্মান থেকেই সেদিন তিনি কিছুই বলেননি।
সাক্ষাতকারে রমাদেবী আরও বলেন যে, সকলের বাড়িতেই মা-বোন-স্ত্রী রয়েছেন। তাই কোনও মহিলাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা মানে সকল পুরুষ জাতিকেই নীচু করা বলেই মত প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন ওই অশালীন মন্তব্যের পরও যদি তিনি ক্ষমা চাইতেন তাহলেও একটা বিষয় ছিল, কিন্তু সেদিন তিনি তা না করে উদ্ধত হয়ে লোকসভা ছেড়ে চলে যান। তাই সবাই মেনে নিলেও রমা দেবী যে এই অন্যায় কিছুতেই মেনে নেবেন না তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি।