আতঙ্ক নয়, অন্ধ্রের এই শহরে আশীর্বাদের নাম ফণী

  • অন্ধ্রের ভিজিয়ানাগ্রামে ফণী যেন আশীর্বাদ
  • সুপার সাইক্লোনকে স্বাগত জানালেন মানুষ
  • ফণীর জন্যই মিটবে জলকষ্ট, আশায় বাসিন্দারা

debojyoti AN | Published : May 4, 2019 6:39 AM IST / Updated: May 04 2019, 12:14 PM IST

ওড়িশা, বাংলা, অন্ধ্রের মতো রাজ্যে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিল ফণীI সেখানে অন্ধ্র প্রদেশের ভিজিয়ানাগ্রামের বাসিন্দাদের কাছে সুপার সাইক্লোন ফণীই আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছেI ফণীর দাপটে প্রবল ঝড় এবং বৃষ্টির খবর পাওয়ার পর থেকেই হাসি ফুটেছে দক্ষিণের এই শহরের বাসিন্দাদের মুখেI

আসলে দীর্ঘসময় ধরে খরার কবলে পড়েছে ভিজিয়ানাগ্রামI বৃষ্টি না হওয়ায় এলাকায় প্রবল জল সংকট দেখা দিয়েছেI বিশেষত পানীয় জলের অভাব চরমে পৌঁছেছেI এমন খরা নাকি গত পঞ্চাশ বছরে দেখা যায়নি ওই এলাকায়I শহরের প্রায় চার লক্ষ বাসিন্দার জন্য প্রয়োজনীয় পানীয় জলের মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ জল কোনওক্রমে সরবরাহ করতে পারছিল প্রশাসনI শহর সংলগ্ন চম্পবতী, ঝাঁঝাবতীর মতো নদী, তাদের শাখা নদী, পুকুর সবই প্রায় শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিলI

এই অবস্থায় ফণীর দৌলতে ফের মেঘ জমেছে ভিজিয়ানাগ্রামের আকাশে, শুরু হয়েছে বৃষ্টিI ফলে, যে ফণী কোথাও কোথাও বিভীষিকা হয়ে দেখা দিয়েছে, সেই সুপার সাইক্লোনই ভিজিয়ানাগ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠেছেI তাঁরা তাই স্বাগত জানিয়েছেন এই ঘূর্ণীঝড়কেI যদিও ঝড়ের দাপটে শহর এবং জেলার অনেক জায়গাতেই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিলI কিন্তু জলকষ্টের কাছে সেই ক্ষতি যেন তুচ্ছ!

স্থানীয ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক বাসিন্দা একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ''এই ঘূর্ণীঝড় আমাদর কাছ অভিশাপ নয়, আশীর্বাদI ফণীর প্রভাবে দু' দিন যদি প্রত্যাশিত পরিমাণে বৃষ্টি হয়, তাহলে ভূগর্ভস্থ জলস্তরের মাত্রা ফের বেড়ে যাবেI বিশেষত আবাসনের যে বাসিন্দারা ভূগর্ভস্থ জলের উপরেই নির্ভরশীল, তাঁরা অনেকটাই স্বস্তি পাবেনI"

ভিজিয়ানাগ্রামের জেলাশাসক এম হরিও স্বীকার করে নিয়েছেন, ফণীর প্রভাবে দিন দুয়েক প্রত্যাশিত পরিমাণে বৃষ্টি হলে গ্রাম এবং জেলার অন্যান্য অংশে পানীয় জলের সংকট অনেকটাই মিটবেI টানা বৃষ্টি হলে জলাধার এবং পুকুরগুলিও ফের ভরে যাবেI বৃষ্টির জল সংরক্ষণে যাতত উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়, সরকারি কর্মীদের সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছেI

একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়I কারণ অতীতে তিতলি ঘূর্ণীঝড়ের জেরে এই ভিজিয়ানাগ্রাম জেলারই অনেক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলI তাই প্রশাসনের তরফে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নিI
 

Share this article
click me!