সোনার চাল তৈরি হয় না
কনটেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা অসন্তুষ্ট খাদ্যের মান নিয়ে
তার জবাবে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল গোয়ার দরজা
একদিকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে গোয়ার দরজা। অন্যদিকে কনটেইমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের কড়া হাতে আটকে রাখা হচ্ছে নির্দিষ্ট এলাকাতেই। সেখানে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্যের একমাত্র কনটেইনমেন্ট জোন মঙ্গুর হিলের বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেছেন সরকারের সরবরাহ করা সেই খাদ্যের মান নিয়ে। আর এই নিয়েই পাল্টা অসংবেদী মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন গোয়ার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
গোয়ার এখন মোট সক্রিয় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২৯২ টি। এর বেশিরভাগই দক্ষিণ গোয়া জেলার ম্যাঙ্গার হিল এলাকায়। তাই ওই এলাকাটি কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন কনটেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের মৌলিক খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে আসছে। যাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সামর্থ্য নেই, তাঁদের বিনামূল্যেই খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ওই এলাকার কিছু বাসিন্দা রাস্তায় সেই চাল ও ডালের প্যাকেট ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের অভিযোগ সরকারের পক্ষ থেকে খারাপ মানের খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তাঁর সাফ দাবি সরবরাহ করা খাদ্য সামগ্রীগুলি যথেষ্ট ভালো মানের। তিনি দাবি করেন, একই মানের মানের খাদ্যশস্য সমগ্র গোয়াতেই রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। বাকিরা কেউ খাবারের নিম্নমানের কথা বলেনি। এরপরই তিনি বলেন, 'আমরা আর কী দিতে পারি? আমার মনে হয় না সোনার তৈরি চাল পাওয়া যায়'।
তাঁর এই 'সোনার চাল' মন্তব্য ওই এলাকাকর বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতী দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে গোয়া। এমনকী এখানে আসতে গেলে পর্যটকদের কোভিড-১৯ পরীক্ষাও দিতে হবে না। তবে মানতে হবে সরকারি নির্দেশিকা। তবে সরকার অনুমতি দিলেও হোটেল ও রেস্তোঁরা ব্যবসায়ীরা এখনও ব্যবসায় ফিরতে পুরোপুরি তৈরি নন। বুধবার পর্যন্ত রাজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ খুলেছে বলে জানা গিয়েছে. তবে পর্যটক আসা শুরু করলে অবস্থা পাল্টে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।