উত্তরপ্রদেশে হেনস্থা হতে হয়েছে স্ত্রীকে। টুইট করে স্বামী লিখলেন, 'আমি তোমার জন্য লখনউ-তে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তাঁর অভিযোগ ছিল, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁর ঘাড় ধরে তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।গর্বিত।'
পড়ে গিয়ে আহতও হয়েছেন বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেত্রী।
এই ঘটনার পরেই প্রিয়ঙ্কার সমর্থনে টুইট করেন তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। তিনি লেখেন, 'মহিলা পুলিশ যেভাবে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, তা দেখে আমি অত্যন্ত বিরক্ত। একজন তাঁর গলা চেপে ধরেন, অন্যজন তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তাই পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই এগিয়ে যান তিনি।'
এর সঙ্গেই তিনি প্রিয়ঙ্কাকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, 'যাঁদের তোমাকে প্রয়োজন, সহমর্মী হয়ে তাঁদের কাছে তুমি পৌঁছে গিয়েছ। তোমার জন্য আমি গর্বিত প্রিয়ঙ্কা। তুমি যা করেছ, ঠিক করেছ। শোকার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা অপরাধ নয়।'
শনিবার উত্তরপ্রদেশে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এসআর দাড়াপুরির বাড়িতে যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে ওই অফিসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তখনই পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। ঘাড় ধরে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই এগিয়ে যান কংগ্রেস।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর অভিযোগ, 'যদি পুলিশ নিজেদের গাড়ি আমাদের গাড়ির সামনে রেখে দেয়, আমায় হেঁটে যেতে বাধা দেয়, আমায় ঘিরে ধরে আমার গলা চেপে ধরে, আমায় ফেলে দেয়, তাহলে তো নিশ্চয়ই সরকারের তাতে সমর্থন আছে।'
যদিও পুলিশের প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। অভিযুক্ত ওই পুলিশ অফিসারও নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, প্রিয়ঙ্কার তোলা সব অভিযোগই খারিজ করেছেন। পুলিশের দাবি, প্রিয়ঙ্কার তাঁর নির্দিষ্ট যাত্রাপথের ব্যবহার না করে অন্য পথ ধরায় সমস্যা হয়েছে।