উত্তরপ্রদেশে এবার প্রথম সেনা স্কুল খুলতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবর সঙ্ঘ। ইতিমধ্য়েই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এপ্রিলেই ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দ শহরে গড়ে ওঠা এই সেনা স্কুলের নাম হবে 'রাজ্জু ভাইয়া সৈনিক বিদ্য়া মন্দির'। রাজ্জু ভাইয়া ছিলেন সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রধান।
সঙ্ঘের এক কর্মকর্তার কথায়, স্কুলবাড়়ি প্রায় তৈরিই হয়ে গিয়েছে। প্রথম ব্য়াচে ষষ্ঠ শ্রেণিতে মোট ১৬০ জন পড়ুয়া ভরতি। ভরতির জন্য় আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্জু ভাইয়া সৈনিক বিদ্য়ামন্দিরের অধিকর্তা কর্নেল শিবপ্রসাদ সিং জানান, "পড়ুয়াদের আমরা নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেব। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এনডিএ, নাভাল আকাদেমি অ্য়ান্ড টেকনিকাল এগজামিনেশনেরর জন্য় ওদের তৈরি করিয়ে দেব। রেজিস্ট্রেশন চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি অবধি। পয়লা মার্চ প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় থাকবে রিজনিং এবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, অঙ্ক আর ইংরেজি। লিখিত পরীক্ষার পর একটা মৌখিক পরীক্ষা হবে। তারপর হবে মেডিকেল টেস্ট।"
জানা গিয়েছে, যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সন্তানদের জন্য় আটটি আসন সংরক্ষিত থাকবে। শহীদ পরিবারের জন্য় বয়সের কিছু ছাড় দেওয়া হবে। তবে এছাড়া আর কোনওরকম সংরক্ষণের ব্য়বস্থা থাকবে না। সিবিএসই ঘরানায় চলবে এই স্কুল।
ইতিমধ্য়েই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সঙ্ঘের এই সেনা স্কুল। সেইসঙ্গে চলছে অ-শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগও। ফেব্রুয়ারির মধ্য়েই সব নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সঙ্ঘের কার্যকর্তারা। সঙ্ঘের শিক্ষা শাখা বিদ্য়াভারতী থেকে নেওয়া হবে স্কুলের অধ্য়ক্ষকে।
স্কুলে শুধু পড়ায়াদেরই নয়, সেইসঙ্গে শিক্ষকদের জন্য়ও ইউনিফর্ম থাকবে। হালকা নীল জামা, ডার্ক ব্লু ট্রাউজার হবে পড়ুয়াদের পোশাক। আর ধূসর রঙের ট্রাউজার ও সাদা রঙের জামা পরবেন শিক্ষকরা। এই সেনা স্কুল পুরোপুরি আবাসিক হবে। সঙ্ঘের এক কার্যকর্তার কথায়, "একমাত্র আবাসিক স্কুলেই একজন পড়ু়য়াকে নৈতিক ও আধ্য়াত্মিকভাবে শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব।"
এদিকে স্কুল নিয়ে ইতিমধ্য়েই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, "এবার কি তবে স্কুলের নামে ছোটবেলা থেকেই মগজধোলাইয়ের কাজ শুরু করতে চলেছে সঙ্ঘ।"