রাজধানী দিল্লির বুকে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে সরব হয়েছিলেন আমেরিকার পপ স্টার রিহানা ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। দেশের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে কথা বলায় বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এরপরই টুইটারে ট্রেন্ডিং হয় #‘ইন্ডিয়াএগেনস্টপ্রোপাগান্ডা’ (#IndiaAgainstPropaganda) এবং হ্যাশট্যাগ ‘ইন্ডিয়াটুগেদার’ (#IndiaTogether)। ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হন ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীরা। ঐক্যবদ্ধ ভারতের আওয়াজ তুলে নাম না করে রিহানা-গ্রেটাদের সমালোচনা করেন সকলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করেন সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেসকর, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগানরা।
এবার দেশের সমর্থনে ট্যুইট করায় এই সকল কৃতীদের বিরুদ্ধে তদন্তের রাস্তায় হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। কংগ্রেসের তরফ থেকে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। কংগ্রেসের তরফে সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেসকর, অক্ষয় কুমার সহ সকল কৃতীদের ট্যুইটের বিষয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সকল ট্যুইটের তদন্ত করতে চলেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার।
কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে গ্রহণ করেন নেটিজেনরা। নেট দুনিয়ায় সমালোচনার ঝ়়ড় তোলেন তারা। সকলেই প্রশ্ন তোলেন মহারাষ্ট্রে থেকে কি দেশের সমর্থনে কথা বললে তা অপরাধ হিসেবে মান্যতা পাবে। সবথেকে বড় বিষয় সচিন তেন্ডুলকর ও লতা মঙ্গসকরের মতো দুই ভারত রত্ন প্রাপ্ত কৃতী ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে উদ্ধব সরকরের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
আরও এক ইউজার প্রশ্ন তোলেন, নিজের দেশের সমর্থনে কথা বলা এখন অপরাধ। মহারাষ্ট্র সরকার এখন সমস্ত সেলেব্রিটির ট্যুইটের তদন্ত করতে চলেছে, যারা ভারতের সমর্থনে টুইট করেছে।
ভারতের ঐক্য ও অখন্ডতার কথা বললে মহারাষ্ট্র সরকারে তাদের নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা। সেলিব্রেটিরা দেশের হয়েই ট্যুইট করেছিলেন।
ফলে,মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কার্যত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কেউই উদ্ধব সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়নি। ফলে আগামি দিনে কি পদক্ষেপ নেয় উদ্ধব ঠাকরের সরকার, এখন সেটাই দেখার।