১০০ দিনের বেশি হয়ে গিয়েছে তাঁর হাজতবাস। শরীর-স্বাস্থ্য একটু ভেঙেছে, কিন্তু মানসিক দিক থেকে কিন্তু একেবারে চাঙ্গা আছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। এদিনও আইএনএর্স মিডিয়া মামলায় তাঁর হাজতবাসের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। কিন্তু, তারপরেও তাঁর রসিক মেজাজে কোনও প্রভাব পড়ল না। মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের পতনন নিয়ে তাঁর সরস মন্তব্য শুধু শুধু রাজ্যপালের কাঁচা ঘুম ভাঙানো হল, এটা খুবই দুঃখের।
তিহারের গরাদের ভিতরে থেকেও দেশের রাজনীতি-অর্থনীতির নিয়মিত খবরাখবর রাখেন তিনি। বুধবার তিনি আদালত চত্ত্বর ছাড়ার আগে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের মধ্যরাতে চুপিসারে সরকার গঠন-কে বললেন, 'সংবিধানের সবচেয়ে গুরুতর লঙ্ঘন'। এর জন্য রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি সকলেই দায়ী। রাষ্ট্রপতির জড়িত থাকাটা খুবই দুঃখের। এরপরই তাঁর খোঁচা, 'আরও দুঃখের রাষ্ট্রপতিকে ভোর চারটেয় উঠতে হয়েছিল'।
দিল্লি হাইকোর্ট এদিন ইডি-র দ্বারা দায়ের করা আইএনএক্স মিডিয়া মামলায়, চিদম্বরমের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিন শুনানির আগেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী টুইট করে বলেন, রাষ্ট্রপতি শাসন তোলার আদেশে স্বাক্ষর করতে রাষ্ট্রপতিকে ভোর চারটেয় ঘুম থেকে তোলা, কার্যত তাঁর কার্যালয়ে হামলা করা। প্রশ্ন তোলেন, 'সকাল ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা গেল না কেন?'
এর আগে ভারতের জিডিপি-র বৃদ্ধি ৫ল শতাংশে নেমে আসা নিয়েও বন্দি অবস্থাতেই ব্যঙ্গ করেছিলেন পি চিদম্বরম। তারপরেও অনেকগুলো দিন কারাগারে কেটে গিয়েছে। তারপরেও তাঁর রসিকতার ধার কমেনি।