দিল্লির সাংবাদিক প্রশান্ত কনৌজিয়াকে গ্রেফতারের জন্যে সুপ্রিম কোর্ট একহাত নিল উত্তর প্রদেশের সরকারকে।
যোগী আদিত্যনাথ এর সমালোচনার কারণে দিল্লির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয় আদিত্যনাথ সরকার । লক্ষ্ণৌ পুলিশের সাইবার সেল থেকে দিল্লির স্বাধীন সাংবাদিক প্রশান্ত জগদীশ কনৌরিয়াকে শনিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁর নিজের বাড়ি থেকে।
অভিযোগ প্রশান্ত নিজের ফেসবুকে এবং টুইটারে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে গত ৬ জুন আপত্তিকর পোস্ট করেছেন। লক্ষ্ণৌ অঞ্চলের হজরতগঞ্জ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাব-ইন্সপেক্টর অশোক গুপ্ত। ইন্সপেক্টর গুপ্ত তাঁর এফআইআর-এ দাবি করেন, প্রশান্ত নিজের দেয়ালে যোগীকে অপমান করে পোস্ট করেছেন। এই পোস্টের দরুণ তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ নং ধারায় প্রশান্তর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়।
ঠিক কী শেয়ার করেছিলেন প্রশান্ত? গত ৬ জুন প্রশান্ত নিজের ফেসবুক ওয়ালে হেমা সাক্সেনা নামক জনৈক মহিলার সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথোপকথনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এই ভিডিওতে হেমা দাবি করেন, যোগীর সঙ্গে তাঁর ভিডিও কনফারেন্সিং এ কথা হয়। তিনি বলেন, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেই তিনি তাঁর গোটা জীবন কাটাতে চান। ভিডিওটি পোস্ট করার সময় নিজের দেওয়ালে প্রশান্ত লেখেন 'ইশক ছুপতা নেহি ছুপানে সে'।
এদিন আদিত্যানাথ সরকারের এই সক্রিয়তার বিরুদ্ধে একটি শুনানিতে শীর্ষ আদালত এই প্রসঙ্গে বলে, "এই সাংবাদিকের ট্যুইটটি সমর্থনযোগ্য নয়। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে কীসের নিরিখে!" একই সঙ্গে এই সাংবাদিককে মুক্তি দিতে বলা হয়।
একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সাবধানবাণী দিয়ে বলে, জনগণের স্বাধীনত অলঙ্ঘনীয়। এই রক্ষাকবচ সংবিধান তাদের দিয়েছে। কোনও শর্তেই তা কেড়ে নেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশান্ত কনৌজিয়াকে জামিনে মুক্ত যোগী সরকারকে উদারতা দেখানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে প্ৰশান্ত কনৌজিয়ার ফেসবুক বা ট্যুইটার পোস্টটিরও সমালোচনা করেছে এদিন আদালত। বলা হয়েছে এই অবমাননাকর কাজটির জন্য চাইলে চালিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে নিয়ে যেতে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন।