লকডাউনে আরও এক বড় সিদ্ধান্তের পথে মোদী সরকার, জুলাই থেকেই খুলে যেতে পারে স্কুল

Published : May 25, 2020, 08:23 PM IST
লকডাউনে আরও এক বড় সিদ্ধান্তের পথে মোদী সরকার, জুলাই থেকেই খুলে যেতে পারে স্কুল

সংক্ষিপ্ত

সম্ভবত জুলাই মাস থেকেই খুলে যাবে স্কুল জোন ভিত্তিক স্কুল খোলার দিকে জোর নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে  মানতে হবে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী জুলাই মাসে খুলে দেওয়া হতে পারে দেশের সমস্ত বিদ্যালয়গুল। তেমনই পদক্ষেপ নিতে চলেছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সূত্রের খবর স্কুল খোলার নিয়মাবলী তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের যে কোনও সময় স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর। তবে দেশের সব স্কুল একসঙ্গে খুলবে না। জোন ভিত্তিক স্কুল খোলার দিকেই মনোনিবেশ করেছে মন্ত্রক। সূত্রের খবর প্রথম সবুজ ও কমলা জোনের স্কুলগুলি খোলার নির্দেশ দেওয়া হবে। পরবর্তীকালেই লাল জোনের অবস্থিত স্কুলগুলি খোলার কথা চিন্তাভাবনা করা হবে। 

যদিওবা জুলাই  মাস থেকে স্কুল খোলা হয় তবে এখনও প্রাইমারি ও প্রিপ্রাইমারি বিভাগে কোনও ক্লাস হবে না। বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীরা যেমন বাড়িতে বসে পড়াশুনা করছে তেমন ভাবে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে তাদের। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায় ছোটদের মধ্যে সংক্রমণের প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। পাশাপাশি তারা নিয়মবিধি মেনে চলার প্রয়োজনিয়তা সম্পর্কে ততটা গুরুত্ব দেবে না। তাই  প্রথম পর্যায়ে নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন শুরু হবে। অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত পড়ুয়ারা বাড়িতেই থাকবে। কঠোরভাবে মানতে হবে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব। প্রতি ক্লাসে মাত্র মাত্র ৩০ শতাংশ পড়ুয়াই উপস্থিত থাকতে পারবে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই সরকারি নিয়মাবলী প্রকাশ হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও মানতে হবে কঠোর নিয়ম।  স্কুল খোলার আগে শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। 

সূত্রের খবর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে স্কুল খোলার পর অনেক পরিবর্তন আনা হবে। কারণ, শ্রেণি কক্ষের ভিতরে ও বাইরে জোর দেওয়া হবে নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের ওপর। একটি বেঞ্চে দুই থেকে তিন জনের বেশি বসতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি পড়ুয়ারা নিয়মবিধি ঠিকমত মানছে কিনা তা জানতে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ চালাতে হবে। পড়ুয়াদেরও মাস্ক ও গ্লাভসের ব্যবহার করা আবশ্যক হবে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও মাস্কের ব্যবহার আবশ্যক হতে পারে। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণ গত ১৬ই মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলি। তারপর গত ২৫ মার্চ থেকে গোটা দেশেই শুরু হয়েছে লকডাউন। বর্তমানে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কবে থেকে স্কুল খোলা হবে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। গত ১৪ মে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন স্কুল খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন স্কুল খোলা হলেও নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের ওপর জোর দেওয়া হবে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি