পুত্রসন্তান লাভের আশায় স্ত্রীকে ত্যাগ করা বা পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনা এর আগে বহুবার ঘটেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে যা ঘটল তা শুনলে শিউড়ে উঠবেন আপনিও। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। দশ বছর বিয়ে হয়েছিল সুমথি নামে এক তরুণী। এখন অবশ্য তাঁর বয়স ৩১ বছর। কিন্তু তাঁর এই দশ বছরের বিবাহিত জীবনে শুধু রয়েছে একরাশ ভীতি আর উদ্বেগ। প্রায়শই মাঝরাতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায় ভয়ঙ্কর স্বপ্নে। সে দেখে তাঁকে কারা যেন নিয়ে যাচ্ছে গর্ভপাত করানোর জন্য।
তবে তাঁর এ ই ভীতি একেবারেই অমূলক নয়। এর অন্যতম কারণ হল এই গর্ভপাত। বিয়ের পর থেকে গত সাত বছর ধরে তাঁকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে কেবলমাত্র পুত্র সন্তান লাভের আশায় সাত বার গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয় সুমতিকে। অষ্টমবার গর্ভধারণ করার পর আবারও একইভাবে তাঁকে নিয়ে গর্ভস্থ ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ করার জন্য রাজি করানো হয়, এবং ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণের পর যখন জানা যায় যে এবার তাঁর গর্ভে পুত্রসন্তান রয়েছে, তখনই এই পর্বের শেষ হয়।
কিন্তু এবার সন্তান ধারণ করে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না ওই গৃহবধু। চরম হতাশা তাকে গ্রাস করেছে। মনোবিদরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকবার গর্ভে কন্যাসন্তান থাকায় পরিবারের তরফ থেকে তাকে বাধ্য করা হয় গর্ভপাত করতে। এবর প্রতিবছরই তাঁর মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা না করেই তাকে গর্ভধারণ এবং একইভাবে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয়। এত সবকিছুর পর গৃহবধুর দাবি ভালই হয়েছে তিনি কোনও কন্যাসন্তানের জন্ম দেননি। কারণ তা হলে হয়তো তাঁকেও একইভাবে নিষ্ঠপরতার শিকার হতে হত।