সেনার কথাতেও বিশ্বাস নেই! কাশ্মীরের মানবাধিকার প্রশ্নে একী চাইলেন শেহলা

শেহলা রশিদের অবস্থানে বিতর্ক
গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল টুইটার
কাশ্মীর নিয়ে লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য় শেহলার
শেহলাকে পাল্টা আক্রমণ সেনার 
 

debojyoti AN | Published : Aug 20, 2019 7:36 AM IST / Updated: Aug 20 2019, 01:13 PM IST

কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে ভারতীয় সেনার সাফাইয়েও কাজ হল না। নিজের মন্তব্য়েই অনড় থাকলেন কাশ্মীরের নেত্রী শেহলা রশিদ। আগ বাড়িয়ে কাশ্মীরের আসল পরিস্থিতি যাচাইয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চাইলেন শেহলা।

উপত্য়কা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরই টুইটারে সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁর টুইটার হ্য়ান্ডল থেকেই ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে ধেয়ে আসছিল একের পর এক প্রশ্নবাণ। বহু ক্ষেত্রেই কাশ্মীরের এই নেত্রীর নিশানায় ছিলেন কাশ্মীরে নিযুক্ত জওয়ানরা। গত রবিবার শেহলা আভিযোগ করেন, কাশ্মীরে নির্বিচারে ঘর থেকে নিরীহ পুরুষদের l তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যখন-তখন ঘরে ঢুকে চলছে তল্লাশি। কেউ কিছু বললেই চলছে অকথ্য অত্যাচার। কাশ্মীরের বুকে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।

যদিও শেহলার এই অভিযোগ অস্বীকার করে সেনা। সরকারিভাবে সেনার তরফে দাবি করা হয়, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এরকম কোনও ঘটনা ঘটছে না। সেনার এই বক্তব্য় সামনে আসার পরই শেহলার বিরুদ্ধে টুইটারে সরব হয় নেটিজেনরা। টুইটারে কাশ্মীর সম্পর্কে ভুয়ো ও মিথ্যে প্রচারের জন্য় শেহলাকে আবিলম্বে গ্রেফতারের কথা বলেন টুইতারাতিরা। যার জবাবে কাশ্মীরের এই নেত্রী বলেন, "আমাকে গ্রেফতারের দাবি তুলে কাশ্মীরের মানবাধিকার প্রসঙ্গ থেকে চোখ সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। কাশ্মীরে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, তা কোনওভাবেই দেশের স্বার্থে করা হচ্ছে না। এটা পুরোপুরি শাসক দলের পরিকল্পিত চিন্তাধারা।"

এই বলেই অবশ্যই থেমে থাকেননি উপত্য়কার এই নেত্রী। অবিলম্বে কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি জানতে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তোলেন শেহলা। জেএনইউ-এর এই ছাত্রনেত্রী বলেন," আমি একজন সাধারণ কাশ্মীরি। এই সময় সরকার আমাকে গ্রেফতার করলে নিজেকে ধন্য় মনে করব। কারণ ইতিমধ্য়েই পুলিশের গোলমরিচের গ্য়াসে কাশ্মীরে ৬৫ বছরের এক প্রবীণ মারা গেছেন। উপত্য়কায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রথম বলি হয়েছে ১৭ বছরের এক যুবক। এদের মৃত্য়ুর সামনে আমার গ্রেফতারি কিছুই নয়।"

এর আগে লাগাতার টুইটে শেহলা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের দখল নিয়েছে আধাসেনা। কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের অধিকার নেই কাশ্মীরের পুলিশের হাতে। কাশ্মীরি পুলিশের উপত্য়কায় এখন কোনও ক্ষমতা নেই। কদিন আগেই সোপিয়ানের সেনা ক্য়াম্পে ৪ জন কাশ্মীরিকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাদের চিৎকার যাতে উপত্য়কাবাসীর মনে ভয় ধরায়,তাই মুখে মাইক ধরা হয়েছিল আক্রান্তদের। উপত্য়কায় সন্ত্রস্ত পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই ব্য়বস্থা নেওয়া হচ্ছে। যদিও শেহলার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য় করেছে সেনা। যারপরই কাশ্মীরের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর আভিযোগে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব।

 

Share this article
click me!