দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানাতেই সিএনজি পদ্ধতিতেই তাঁকে দাহ করা হল। এদিন শহরের সবচেয়ে পুরনো নিগামবোধ ঘাটে বেলা আড়াইটা নাগাদ শীলা দীক্ষিতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। প্রশাসনিক কাজকর্মের পাশাপাশি দিল্লির পরিবেশ দূষণ নিয়ে যথেষ্ট উদ্যোগী ভুমিকা পালন করেছিলেন শীলা দীক্ষিত। তাই মৃত্যুর পরও পরিবেশের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেই বিষয়টি নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন তিনি। তাই তাঁর শেষ ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়েই সিএনজি অর্থাৎ কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাস মেসিনেই তাঁকে দাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীনই শীলা দীক্ষিত পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে প্রথম রাজধানীতে সিএনজি ধারণা চালু করেন। ২০১২ সালে পরিবেশ বান্ধব এই সিএনজি মেসিন ইনস্টল করা হলেও, সাধারণ মানুষ দাহ কার্যের জন্য হিন্দু ধর্মের বর্ণিত সনাতনী পদ্ধতিতেই দাহকার্য করেন। কারণ তাঁদের ধারণা এই পদ্ধতিতে দাহকার্য করা হলে তা হয়তো হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে যাবে।
কিন্তু পরিবেশ বান্ধব এই সিএনজি পদ্ধতিতে দাহকার্যের জন্য কাঠের বদলে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যার ফলে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কম হয়। তাই মৃত্যুর পরওে পরিবেশ নিয়ে তাঁর ভাবনা সকলের কাছে পৌঁছে দিতেই সিএনজি পদ্ধতিতেই তাঁর দাহ কার্য হোক এমনটাই চেয়েছিলেন তিনি।