অমিত বিক্রমে তুলোধোনা সেনা-কে, মহারাষ্ট্র নিয়ে মৌনব্রত ভাঙলেন বিজেপি সভাপতি

  • অবশেষে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন অমিত শাহ
  • রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পিছনে বকলমে শিবসেনাকেই দায়ী করলেন
  • এতে কেন্দ্রের কোনও গা জোয়ারি নেই বলে দাবি করলেন
  • জোট ভাঙার জন্যও সেনার দিকেই আঙুল তুললেন বিজেপি সভাপতি

 

amartya lahiri | Published : Nov 13, 2019 5:04 PM IST

এতদিন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বা চন্দ্রকান্ত পাতিলকে শিবসেনার সমালোচনা করতে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তাঁরা রাজ্যের নেতা। তাঁদের কথাকে সেভাবে পাত্তা দিচ্ছিল না শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরে সমানে বলে গিয়েছেন অমিত শাহ-এর সঙ্গে তাঁর ৫০-৫০ ফর্মুলায় মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের কথা হয়েছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের আধা ভাগও চাই। এইবার স্বয়ং অমিত শাহ-ই মুখ খুললেন শিবসেনার বিরুদ্ধে।

এতদিন মহারাষ্ট্রের রাজননৈতিক সঙ্কট নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বুধবার তিনি বলেছেন মহারাষ্ট্রের মতো ভারতের অন্য কোনও রাজ্য সরকার গঠনের জন্য সময় নেয়নি। তাই রাষ্ট্রপতির শাসন জারির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করা ঠিক নয়। একই সঙ্গে বিজেপি ও শিবসেনা জোট ভাঙার সব দায় তিনি সেনার উপরই চাপিয়েছেন।

এদিন অমিত শাহ দাবি করেন, নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি নিজে মহারাষ্ট্রে জনসভা করতে গিয়ে প্রকাশ্যেই বারবার করে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেই এনডিএ জোট মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। তখন সেনার পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি করা হয়নি। এখন তারা নতুন দাবি নিয়ে এসেছে যা বিজেপি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না।

মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি নিয়ে কেন্দ্রের গা জোয়ারির অভিযোগ করেছে শিবসেনা সহ রাজ্য়ের অবিজেপি দলগুলি। কিন্তু এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য ১৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এর আগে কোনও রাজ্যকে এত সময় দেওয়া হয়নি। তাছাড়া বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই রাজ্যপাল পরপর দলগুলিকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। শিবসেনা, কংগ্রেস-এনসিপি জোট এমনকী বিজেপি-ও পদ্ধতি মেনে সরকার গড়ার দাবি জানায়নি। আর এখনও যে কোনও দলই সংখ্যাগরীষ্ঠের সমর্থন নিয়ে রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারে। কাজেই কোনওভাবেই এর জন্য কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলা যায় না। অমিত শাহ-এর এই বক্তব্যের জবাবে শিবসেনা কী বলে সেদিকে চোখ রাখছে রাজনৈতিক মহল।

 

Share this article
click me!