মহারাষ্ট্রে এখন জোর কদমে চলছে সরকার গঠনের কাজ। বুধবার সকালে বিধায়কদের সকলের শপথগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এমনকী বিদ্রোহী অজিত পওয়ারকেও জোট সরকারে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়ে গিয়েছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকাও। কর্নাটকে কুমারস্বামী সরকার গঠনের সময় শপথগ্রহণের মঞ্চ হয়ে উঠেছিল বিজেপি-বিরোধী দলগুলির জোট বাঁধার মঞ্চ। মহারাষ্ট্রে কিন্তু ত্রিদলীয় জোটের অতিথি তালিকা বহুবর্ণ হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার শিবাজি পার্কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন উদ্ধব ঠাকরে। নির্বাচনের প্রচার পর্বেই উদ্ধব জানিয়েছিলেন তিনি বালাসাহেব-কে কথা দিয়েছিলেন একদিন এক শিবসৈনিক-কে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসাবেন। সেই কথা রাখতে চলেছেন তিনি। আমন্ত্রণপত্র যাচ্ছে তাঁর জেঠতুতো দাদা রাজ ঠাকরের কাছে। বালাসেহেবের দুই ঘোড়া ছিলেন রাজ ও উদ্ধব। পরে রাজ ঠাকরে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা গঠন করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এই বারের নির্বাচনে তার এমএনএস মাত্র একটি আসন পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর বালাসাহেবের দুই ঘোড়ার দেখা হবে শপথের মঞ্চে।
এছাড়াও আমন্ত্রিতদের তালিকায় থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অন্ধ্রপপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব-সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের অ-বিজেপি প্রাক্তন ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীরা ও প্রাদেশিক দলগগুলির নেতারা।
তবে সবচেয়ে বড় চমক হতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র উপস্থিতি। এদিন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়েছেন, তারা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-কে অবশ্যই আমন্ত্রণ জানাবেন। মহারাষ্ট্রের কোনও বিজেপি নেতাকে আমন্ত্রণ করা হবে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।
মহারাষ্ট্রে তাড়াহুড়ো করে সরকার গঠন করে তিনদিনের মাথায় পদত্যাগ করতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ-কে। মহারাষ্ট্রের ঘটনা সারা দেশেই বিজেপির মুখ পুড়িয়েছে। বিশেষ করে সরকার গঠনের একঘন্টা যেতে না যেতেই নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ দুজনেই ফড়নবিশকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এখন সেই কাঁটা গিলতে হচ্ছে তাঁদের।