২৩ মার্চ নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান
তারপরের দিন থেকে গোটা দেশে লকডাউনের ডাক দেওয়া হয়েছিল
অবশেষে মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রিসভা গড়লেন 'মামাজি'
পাঁচজন মন্ত্রী হলেন যাদের দুইজনই কংগ্রেস থেকে আসা বিদ্রোহী
মধ্যপ্রদেশে কোভিড-১৯ সংকট ক্রমে বাড়ছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বা 'মামাজি' মন্ত্রিসভা গড়লেন। পাঁচজন মন্ত্রী হলেন, তাঁর মধ্যে দুইজনই কংগ্রেসে বিদ্রোহ ঘোষণা করে শিবির পাল্টেছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে মন্ত্রী হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র, কমল প্যাটেল এবং মীনা সিং। আর মন্ত্রীসভায় জায়গা পেলেন দুই প্রাক্তন কংগ্রেসি বিধায়ক তুলসী সিলাওয়াত এবং গোবিন্দ সিং রাজপুত। লকডাউনের মধ্য়েই দুপুর বারোটায় রাজভবনে তাঁরা শপথ নেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত সকলেরই মুখ ঢাকা ছিল ফেস মাস্ক-এ। চেয়ারগুলিও সামাজিক দূরতত্বের বিধি মেনে দূরে দূরে রাখা হয়েছিল। শপথ গ্রহণের সময় অবশ্য নতুন মন্ত্রীরা মুখোশ খুলেই শপথবাক্য পাঠ করেন।
গত ২৩ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। শোনা যায় দলীয় হাই কমান্ড থেকে তাঁকে সেই মুহূর্তে অন্য কাউকে মন্ত্রী না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিদ্রোহী কংগ্রেসীদের হাতে রাখতে তাদের মন্ত্রিত্ব দিতে হবে, আবার তাতে দলেই বিদ্রোহ হতে পারে। কিন্তু, বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। ইন্দোর, ভোপাল, উজ্জয়িন দেশের অন্যতম হটস্পট। বিরোধীদের পক্ষ থেকেও দীর্ঘদিন সংবিধানকে অস্বীকার করে মন্ত্রীসভা ছাড়া একা মামাজির সসরকার চালানো নিয়ে কথা উঠছিল। তিনি এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকজন কর্তা মিলে অবস্থা সামলাতে পারেছেন না বলেও সমালোচনা হয়েছে। এরপরই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়। ৩ মে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আরও কয়েকজন মন্ত্রী শপথ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, নতুন যে পাঁচজন মন্ত্রী হলেন, তাদের মধ্য দিয়ে আপাতত সব পক্ষকেই সন্তুষ্ট রাার চেষ্টা হয়েছে। রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন নরোত্তম মিশ্র। এমনকী তাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েও ছিল। তাই তাঁর মন্ত্রী হওয়াটা নিশ্চিত ছিল। কমল প্যাটেল ওবিসি মুখ এবং মীনা সিং আদিবাসী সম্প্রদায়ের। আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার একান্ত অনুগত হিসাবে প্রাক্তন কংগ্রেসী তুলসী সিলাওয়াত এবং গোবিন্দ সিং রাজপুত মন্ত্রী হয়েছেন। সিলাওয়াত কমলনাথ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, আর গোবিন্দ সিং ছিলেন রাজস্ব ও পরিবহন মন্ত্রী।