বাজেটে কৃষিক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হল।
২.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল এই খাতে।
কৃষিক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়াতে চাইছে সরকার।
কৃষিপণ্য বিপণনের জন্যও বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
২০২০-২১ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষিক্ষেত্রের জন্য বিরাট ঘোষণা করেলন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় কৃষি কার্যক্রম, সেচ ও পল্লী উন্নয়ন সমন্বিত খাতে ২.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করলেন। সেইসঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে সৌরশক্তির ব্যবহার, সেচ, কৃষিপণ্য বিক্রয়, বিমা ও কৃষক ক্রেডিট কার্ড নিয়েও বড় ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের ১০০ টিরও বেশি জেলায় অসময়ের অতি বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সব জেলাগুলিতে কৃষিপণ্য রক্ষার জন্য বিস্তৃত ব্যবস্থাগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অনুর্বর বা পতিত জমিতে কৃষকদের সৌর ইউনিট স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আরও বাড়ানোর দরকার। এর জন্য কৃষিভিত্তিক কার্যকলাপে সরকারি সহায়তা বাড়ানো হবে। এর জন্য কৃষিক্ষেত্রে আরও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে। সেইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় ৬.১১ কোটি কৃষককে বীমার আওতায় এনেছে।
শস্য উৎপাদনই নয়, তা যাতে নষ্ট না হয় তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। কৃষিজাত পণ্য, দেশে ও দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে 'কৃষি উড়ান' প্রকল্প চালু করা হবে। ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ভেভেলপমেন্ট দেশে ১৬২ মিলিয়ন টন কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য দেশজুড়ে গুদাম তৈরির মানচিত্র তৈরি করবে। সেইসঙ্গে অনলাইন বিপনীতে কৃষিপণ্য বিক্রয় করার ব্যবস্থাও করা হবে। এছাড়া পিপিপি মডেলে ভারতীয় রেলওয়ে কিষান রেল স্থাপন করবে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আরও জানান, কৃষি মাণ্ডিগুলির আরও উদারিকরণ করা দরকার। সরকার কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের কল্যাণের জন্য ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছে। সীতারমণ বলেন, কৃষিক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ দরকার।
সেইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সরকার ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।