'সামনে রয়েছে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ', একদিনেই যুদ্ধ ছেড়ে হাত ধরল সেরাম ও ভারত বায়োটেক

Published : Jan 05, 2021, 04:39 PM IST
'সামনে রয়েছে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ', একদিনেই যুদ্ধ ছেড়ে হাত ধরল সেরাম ও ভারত বায়োটেক

সংক্ষিপ্ত

দুই ভারতীয় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকের মধ্যে দ্বন্দ্ব সোমবার এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেরাম ইন্সস্টিটিউটকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছিলেন ভারত বায়োটেকের শীর্ষকর্তা একদিন পরই পরিস্থিতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল

একদিন আগেই সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন ভারত বায়োটেক-এর চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাক্তার কৃষ্ণ এলা। তাই নিয়ে দুই ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বমধ্য়এ রীতিমতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার অবশ্য দুই সংস্থাই একসঙ্গে সাদা রুমাল নাড়ল। এদিন সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে বলেছে দুই সংস্থাই ভ্যাকসিন বিতরণ প্রকল্পে যৌথভাবে কাজ করবে।

এদিন দুই সংস্থা এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক যৌথভাবে ভারতে ও বিশ্বে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের স্বচ্ছ বিতরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত ও বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উত্পাদন ও সরবরাহ করা তাদের 'সম্মিলিত অভিপ্রায়' বলেও জানানো হয়েছে। তারা বলেছে, সামনে ভারত ও বিশ্ববাসীর জীবন ও জীবিকা রক্ষা করার মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। তাদের তৈরি ভ্যাকসিনগুলি বিশ্বব্যাপী প্রাণ বাঁচাতে এবং দ্রুত অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক করার ক্ষমতা রাখে।

এসআইআই এবং ভারত বায়োটেক বলেছে, উচ্চ মানের, নিরাপদ এবং কার্যকরী ভ্যাকসিন গ্রহণ করাটা জনসংখ্যার যে অংশের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জন্য সেই ভ্যাকসিন উত্পাদন, সরবরাহ ও বিতরণেই তারা এখন ফোকাস করছে। তরা আরও বলেছে, দুই সংস্থাই পুরোপুরি এই কাজেই জড়িত এবং ভ্যাকসিনগুলির একটি মসৃণ বিতরণ নিশ্চিত করাটা, দেশ এবং বিশ্বের প্রতি তাঁদের বৃহত্তর দায়িত্ব। আর তারা সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কোভিড ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

গত রবিবারই ডিসিজিআই, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভাক্সিন এবং কে সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাতদিত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড-কে ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোভ্যাক্সিনকে ফেজ-৩ ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হওযার আগেই কীকরে এই অনুমোদন দেওয়া হল, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

জবাবে সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন ডাক্তার কৃষ্ণ এলা। সেখানে কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়ার সমালোচকদের পাশাপাশি সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান তিনি। বলেছিলেন, কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্যে ভিত্তিতে। ভারতে এর কার্যকারিতা ও সুরক্ষা নিয়ে কোনও তথ্য জমা দেওয়া হয়নি। একদিন পরই অবশ্য যুদ্ধ ছেড়ে হাত ধরাধরির পথে এল দুই ভারতীয় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা।

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: কলকাতায় পা রাখছেন মেসি থেকে শুরু করে শুভেন্দুর নিশানায় মমতা, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
জনগণনা ২০২৭: ৩০ লক্ষ কর্মী, ১১,৭১৮ কোটি টাকা বাজেট, বিশ্বের বৃহত্তম সমীক্ষা