
Sonam Raghuvanshi mastermind: রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে সোনম রঘুবংশীর ভূমিকা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, कथিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহ আসলে সোনমকে "দিদি" বলে ডাকত। রাজের মোবাইলেও সোনমের নাম "সোনম দিদি" হিসেবে সেভ করা ছিল। এখন নতুন তত্ত্ব উঠে আসছে, যা থেকে প্রশ্ন উঠছে, সোনম রঘুবংশীই কি এই হত্যার আসল মাস্টারমাইন্ড? রাজ কুশওয়াহাকে কি সে শুধু খুনের কাজে ব্যবহার করেছে?
"সোনম দিদি"ই বলত রাজ - সম্পর্কটা কী ছিল?
রাজ কুশওয়াহের মোবাইলে সোনমের নম্বর ‘সোনম দিদি’ নামে সেভ ছিল। পরিবার এবং সোনমের ভাই গোবিন্দও দাবি করেছেন যে, রাজ তাকে 'দিদি' বলেই ডাকত। তাহলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কাহিনী এখন প্রশ্নের মুখে।
সোনমের পেছনে কি অন্য কেউ?
তদন্তে উঠে আসা তথ্য থেকে সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে যে, এই খুনের মামলার মাস্টারমাইন্ড অন্য কেউ হতে পারে। রাজ শুধু হাওয়ালা কাজের জন্য সোনমের সংস্পর্শে ছিল। ফরেনসিক এবং ব্যাংক লেনদেনের রেকর্ডে বেশ কিছু সন্দেহজনক তথ্য উঠে এসেছে।
সন্দেহজনক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন
তদন্তে চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি জিতেন্দ্র রঘুবংশীর নামে, যার ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে। পুলিশের সন্দেহ, হাওয়ালা নেটওয়ার্কটি রাজের মাধ্যমেই পরিচালিত হত।
হারিয়ে যাওয়া আইফোন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ
সোনমের কাছে দুটি আইফোন ছিল, যা এখন উধাও। এই মোবাইলগুলিতে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চ্যাটিং, ছবি এবং কল ডিটেলস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, রাজার আংটি, চেইন এবং ব্রেসলেটও এখনও উদ্ধার হয়নি।
পুলিশি তদন্তে উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
পুলিশি তদন্তের আওতায় পুরো নেটওয়ার্ক
বর্তমানে সোনম উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে এবং ইন্দোর ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে শিলং SIT-এর টিম জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তিন দিন পার হয়ে গেলেও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নেটওয়ার্ক এবং সহযোগীদের পরিচয় স্পষ্ট হয়নি।