National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড কেসে ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস শিবির। ইডির করা মামলায় এবার সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর কাছে নোটিশ পাঠালো দিল্লি হাইকোর্ট। কী কারণে এই নোটিশ? বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ফের আইনি অস্বস্তিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের জবাব তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট।
25
আদালতে কী জানালো ইডি?
সোমবার বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজা এই নির্দেশ দেন। গত ১৬ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত ইডির করা অভিযোগটি খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছিল যে, কোনও এফআইআর (FIR) ছাড়াই এই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া 'আইনত গ্রাহ্য নয়'। ট্রায়াল কোর্টের সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা বা ইডি।
35
সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে কী বলল আদালত?
মূল পিটিশন এবং ইডির স্থগিতাদেশের আবেদন—উভয় বিষয়েই অভিযুক্তদের জবাব তলব করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১২ মার্চ, ২০২৬। ইডির দাবি, নিম্ন আদালতের রায়ে আইনি ত্রুটি রয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া সচল থাকা প্রয়োজন। আগামী বছরের মার্চ মাসে শুনানির পর স্পষ্ট হবে এই মামলায় গান্ধীদের আইনি ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেয়।
মানি লন্ডারিং বা অর্থ তছরুপের মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন গান্ধী পরিবার। ইডি-র দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়ে ট্রায়াল কোর্ট সাফ জানিয়েছে, কোনো এফআইআর (FIR) ছাড়া শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে অর্থ তছরুপের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
55
আদালতের কী পর্যবেক্ষণ?
আদালত তার পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করেছে যে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)-এর তফশিলভুক্ত কোনও অপরাধের জন্য যদি নির্দিষ্ট কোনও এফআইআর না থাকে, তবে সেই সংক্রান্ত তদন্ত বা প্রসিকিউশন কমপ্লেইন্ট (চার্জশিট) গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিচারকের মতে, কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তদন্ত শুরু হয়েছিল একটি ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে, কোনো আনুষ্ঠানিক এফআইআর-এর ওপর ভিত্তি করে নয়। ফলে এই মামলা আইনত "বজায় রাখার যোগ্য নয়" বলে আদালত মনে করে।