দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল কংগ্রেসের সংগঠনের পরিকাঠামো বদলের। তেলাঙ্গনা, মধ্যপ্রদেশের, মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে সদ্যো নির্বাচনী ফল খারাপ হওয়ার পর আরও জোরালো হয়েছিল সেই রদবদলের দাবি। এবার কি সেই কাজেই হাত দিলেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী? শনিবার রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ দলের বিক্ষুদ্ধ নেতাদের সঙ্গে প্রায় ৫ ঘণ্টা বৈঠকের পরই গুজরাত ও হায়দরাবাদের নেতৃত্বের বদল হয়েছে। আর তাদেই জল্পনা তুঙ্গে এবার কি নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্ব উস্কে দিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পদে ফিরতে চলছেন রাহুল গান্ধী।
শনিবার বৈঠকের পরই হায়দরাবাদ পুরসভায় খারাপ ফলাফলের দায় গ্রহণ করে তেলাঙ্গনা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উত্তম কুমার রেড্ডি। অন্যদিকে গুররাতেও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অমিত চাভদা। মহারাষ্ট্রের বালাসাহেব থোরাটকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। কোপ পড়তে পারে মধ্য প্রদশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ওপরেও। অন্যদিকে আগামী বছরই কেরল ও অসমে বিধানসভা নির্বাচন। এই দুই রাজ্যে ভোটের কথা মাথায় রেখে আইসিসির দুই অতিরিক্ত সম্পাদক নিয়োগ করেছেন সনিয়া গান্ধী। কেরলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারিক আনোয়ারকে। আর অসমের দায়িত্ব পেয়েছেন, জিতেন্দ্র সিং। সূত্রের খবর শনিবারের বৈঠকে সনিয়া গান্ধী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ভিন্ন মত থাকলেও বৃত্ততর একান্নবর্তী পরিবারের মতই দলের সব নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।
আগামী ১০ দিন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিরা গান্ধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদের মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই বৈঠকেও কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে বলেও সূত্রের খবর। সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের একপক্ষ দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন। সেই বিষয়টিও চূড়ান্ত হতে পারে। রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন দল যেমনভাবে চাইবে তেমনভাবেই কাজ করতে তিনি প্রস্তুত। তবে আবারও সভাপতির পদে তাঁকে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে দলের অন্দরে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালা জানিয়েছেন দলেপ ৯৯ শতাংশ নেতা ও কর্মী চাইছেন রাহুল গান্ধী সভাপতি হয়েই দলকে নেতৃত্ব দিক। কিন্তু সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন সনিয়া গান্ধী।