সুনন্দা পুষ্কর হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তাঁর নিজের কথা ৭বছরের মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।
সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় (Sunanda Pushkar death case) বেকসুর খালাস পেলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। তাঁর নিজের কথা ৭বছরের মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। দিল্লি আদালতের বিশেষ বিচারপতি গীতাঞ্জলী গোয়েল শশী থারুরকে এই মামলার সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির একটি বিলাসবহুল হোটেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সুনন্দাকে। এরপরই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং অত্যাচার করার অপরাধে অভিযুক্ত করা হয় শশী থারুরকে। তবে সেই মামলা থেকে বুধবার অব্যাহতি পেলেন তিনি।
ভার্চুয়াল শুনানিতে দিল্লি কোর্টের বিশেষ বিচারপতি জানিয়ে দেন সব অভিযোগ থেকে মুক্ত এই কংগ্রেস নেতা। শুনানি শেষে শশী থারুর বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন এই রায় তাঁর জন্য বড় স্বস্তির। গত সাড়ে সাত বছর ধরে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণায় কেটেছে তাঁর দিন।
সওয়াল জবাব চলার সময় পুলিশ যখন ৩০৬ ধারা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা গঠনের দাবি করে, তখন থারুরের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিকাশ পাহওয়া আদালতকে বলেছিলেন যে এসআইটি (SIT)-এর তদন্তে এই কংগ্রেস নেতাকে সমস্ত অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৭ই জানুয়ারি শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করকে শহরের একটি বিলাসবহুল হোটেলের একটি স্যুটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। থারুরের সরকারি বাংলোয় সংস্কার চলায় ওই দম্পতি হোটেলে থাকছিলেন। থারুরের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ ৪৯৮ এ ধারা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা করে। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। । 306 এর অধীনে অভিযুক্ত হয়েছিল, কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। ২০১৮ সালের ৫ই জুলাই তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।