গুজরাত দাঙ্গায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের জামিন, আবেদন মঞ্জুর করল দেশের শীর্ষ আদালত

  • সর্দারপুরা গ্রামে ৩৩ জনকে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা
  • গোধরা পরবর্তী সময়ে দাঙ্গার ঘটনা
  • এই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা হয় ১৭ জনের
  • তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল শীর্ষ আদালত

Asianet News Bangla | Published : Jan 28, 2020 11:24 AM IST / Updated: Jan 28 2020, 05:00 PM IST

২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা ভারতের ইতিহাসের অন্যতম এক কলঙ্কময় অধ্যায়। গোধরা পরবর্তী এই দাঙ্গায় গুজরাতের সর্দারপুরা গ্রামে ৩৩ জন মুসলিমকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। এই ঘটনায় ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে আগেই বেকসুর খালাস দেয় দুজরাত হাইকার্টে। বাকি ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করল।

আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া নাগপুরে, ধর্ষণ করে গোপনাঙ্গে ঢোকানো হল লোহার রড

গুজরাত হাইকোর্টের দেওয়া যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে উচ্চআদালতে আবেদন জানিয়েছিল ১৭ জন। সুপ্রিমকোর্টে মঙ্গলবার ছিল এই মামলারই শুনানি। প্রধানর বিচারপতিএস এ বোবডে, বিচারপতি বি আর গভাই ও সূর্যকান্তকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের জামিন মঞ্জুর করেন।

১৭ জন সাজাপ্রাপ্ত জামিন পেলেও তাদের সামজকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত থাকতে হবে। তাদের দুটি দলে ভাগ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। জামিন মঞ্জুর হলেও তারা গুজরাতে ফিরতে পারবে না। নিয়ে যাওয়া হবে মধ্যপ্রদেশে। একটি গোষ্ঠীকে পাঠান হবে ইন্দোরে, অপর গোষ্ঠীকে পাঠানো হবে জব্বলপুরে। সেখাণে তাঁদের আধ্যাত্মিক ও সমাজকল্যানমূলক কাজ করতে হবে। জামিনে থাকাকালীন তাদের আচরও ও কাজ নিয়ে একটি রিপোর্টও তৈরি করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে জানতে পারেন পদ্মশ্রী পাচ্ছেন, কেন এই ফল বিক্রেতাকে সম্মান জানাচ্ছে মোদী সরকার

জামিনপ্রাপ্ত ১৭ জনকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে  সপ্তাহে ৬ ঘণ্টা করে সামাজিক কাজ করতে হবে। এছাড়া জামিনের শর্ত অনুসারে স্থানীয় থানায় সপ্তাহে একবার হাজিরা দিতে হবে। 

গোধরা পরবর্তী মোট ৯টি দাঙ্গার তদন্ত করেছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। সদরপুর দাঙ্গা তার অন্যতম। সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেন জ্বালানোর ঘটনার পরদিন সদরপুরের শেখ বাস এলাকায় একদল লোক ইব্রাহিম শেখের বাড়িতে আধুন ধরিয়ে দেয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আশ্রয় নেওয়া ৩৩ জনের।

Share this article
click me!