
নয়াদিল্লি: বুধবার বায়ু দূষণের শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি-গুড়গাঁও সীমান্ত সহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথগুলিতে যানজট কমাতে ৯টি টোল প্লাজা বন্ধ বা স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ দিল্লি পৌর নিগমকে (MCD) আপাতত ৯টি টোল প্লাজা বন্ধ করার বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, যখন দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে, তখন জনবহুল শহরের সীমানায় টোল আদায় আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কেন বন্ধ করা যাবে না? শুধু টাকার প্রয়োজনে আপনারা কি আগামীকাল কনট প্লেসেও টোল প্লাজা বসিয়ে দেবেন? তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আধিকারিকরা কেন বলতে পারছেন না যে জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও টোল প্লাজা থাকবে না? আমরা টোলের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আপনাদের এমন একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যাতে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও টোল না লাগে।
সুপ্রিম কোর্ট NHAI-কে জিজ্ঞাসা করেছে যে দিল্লিতে MCD দ্বারা পরিচালিত ৯টি টোল সংগ্রহের বুথগুলি হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত স্থানগুলিতে স্থানান্তর করা যেতে পারে কিনা। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, এই ধরনের বুথগুলিকে এমন জায়গায় স্থানান্তর করা যেতে পারে যেখানে NHAI কর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন যে এই বুথগুলি থেকে সংগৃহীত টোলের একটি অংশ MCD-র অস্থায়ী ক্ষতি পূরণের জন্য দেওয়া যেতে পারে।
MCD-কে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেছে যে টোল প্লাজা থেকে আসলে কতটা রাজস্ব আয় হচ্ছে এবং হাইওয়ে ও সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণে কতটা খরচ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। আদালত পৌর সংস্থাকে বলেছে, আমরা তদন্ত করব আপনারা এই টোল প্লাজাগুলি থেকে কত আয় করেন এবং হাইওয়ের রক্ষণাবেক্ষণে কত খরচ করেন। টোলের সঙ্গে যুক্ত অর্থের আরও গভীর অডিট করা হবে। উল্লেখ্য, বেঞ্চকে দিল্লি ও গুড়গাঁওয়ের মধ্যে MCD টোল প্লাজায় ট্র্যাফিক জ্যামের সমস্যা সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। একইসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল যে সেখানে গাড়ির দীর্ঘ সারি রাজধানীর দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে এবং মানুষ চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।