৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা, দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিল গুজরাত হাইকোর্ট

  • নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ড
  • মৃত্যুদণ্ড দিল গুজরাত হাইকোর্ট
  • বছর দুয়েক আগে সুরাটে এক ৩ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছিল এই অভিযুক্ত
  • আগে সুরাটের এক বিশেষ আদালতও তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল

 

amartya lahiri | Published : Dec 27, 2019 8:09 AM IST

বছর দুয়েক আগে সুরাটের এক ৩ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যার ভয়াবহতার কথা শুনে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) গুজরাত হাইকোর্ট সেই মামলার দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিল। ধর্ষণ, খুন, অপ্রাকৃত যৌনতা এবং প্রমাণ লোপাচের চেষ্টার অভিযোগে সে আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর। এরপর পাঁচ মাসের মধ্য়েই ২২ বছরের অনিল যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন সুরাটের অতিরিক্ত সেশন বিচারক পিএস কালা। এরপর সেই রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দোষী। কিন্তু হাইকোর্টও আগের রায় বহাল রেখে এদিন তাকে মৃত্যুদণ্ড দিল।

২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সন্ধের থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। নাবালিকা যে বহুতলে থাকত তারই একতলায় থাকত অনিল যাদব। নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর প্রথম দিকে সেও খোঁজাখুঁজিতে সঙ্গ দিয়েছিল। পরে একসময় আচমকাই ঘরে তালা লাগিয়ে উধাও হয়ে যায়। পরদিন সকালে পুলিশ তার ঘরের তালা ভেঙে ভিতর থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করেছিল। দেবটি একটি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে রাখা ছিল।

ঘটনার পর দোষী অনিল যাদব তার গ্রামের বাড়ি বিহারের বক্সার জেলার মানিয়া গ্রামে পালিয়ে গিয়েছিল। সুরাট ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্যরা বিহার পুলিশের সহায়তায় তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করেছিল।
 
এই ঘটনার দিন কয়েক আগেই সবরকান্তায় আরও এক ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণ করেছিল ভিনরাজ্যের এক শ্রমিক। পরপর এই দুই ঘটনায় সেই সময় গুজরাত জুড়ে ভিন রাজ্য থেকে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ-বিহারের শ্রমিকদের উপর হামলা হওয়া শুরু হয়েছিল।

 

Share this article
click me!