প্লাস্টিক শুধু মানুষের ক্ষতি করে তা নয়, বিপন্ন করে তুলছে অন্যান্য প্রাণীকেও। এই প্ল্যাস্টিকের প্রভাবে সামুদ্রিক জীবন বিপন্ন হচ্ছে বলে পরিবেশ কর্মীরা আগে থেকেই প্রতিবাদ করা শুরু করেছে। এবার গরুর পেট থেকে ৫২ কিলো প্লাস্টিক অস্ত্রোপচার করে বের করা হল। ঘটনাটি তামিল নাড়ুতে ঘটেছে।
ত্রিরুমুল্লাইভয়াল থেকে তামিলনাড়ু ভেটেনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় গরুটির পেটে যন্ত্রণা করছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ গরুটি বার বার পা দিয়ে পেটে মারার চেষ্টা করছিল। এছাড়াও গরুটির মালিক দাবি করেছেন, তার মূত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। দুধ দেওয়ার পরিমাণ আগের থেকে অনেকটা কমে গিয়েছে। পশু চিকিৎসকরা মনে করছেন, পেটে ব্যাপক পরিমাণে প্লাস্টিক জমা হওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। পশু চিকিৎসকদের মতে প্রায় দুই বছর ধরে গরুটির পেটে প্লাস্টিক জমা হয়েছে। প্লাস্টিক যে আমাদের বাস্তুতন্ত্রকে কতটা আঘাত করছে, এই ঘটনা তার একটা বড় প্রমাণ।
বর্তমানেক গরুটিকে চিকিৎসকদের অধীনে রাখা হয়ছে। পশু চিকিৎসকরা আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শীঘ্রই গরুটি সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে পশুদের পেট থেকে প্লাস্টিক উদ্ধারের ঘটনা এখন সারা বিশ্বজুড়ে খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাটি সাধারণ হলেও এর ক্ষতিকারক প্রভাব সুদূর বিস্তারি। এই হারে পশু বা মাছেদের পেটে প্লাস্টিক পাওয়ার ঘটনা বাস্তুতন্ত্রকে একটা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেবে। গত বছরেই এই প্লাস্টিকের জেরে বেশ কয়েকটি তিমি মাছের মৃত্যু হয়েছে।