পুড়ে গিয়েছে শরীরের ৯০ শতাংশ, সংকটজনক উন্নাওয়ের নির্যাতিতা

  • ৯০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ উন্নাওয়ের নির্যাতিতার
  • আশঙ্কা জনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে
  • বৃহস্পতিবার রাতে আনা হয়েছে দিল্লিতে
  • সংকটজনক অবস্থা কাটতে লাগবে আরও ৭২ ঘণ্টা

Asianet News Bangla | Published : Dec 6, 2019 3:23 AM IST / Updated: Dec 06 2019, 08:55 AM IST

হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে শুক্রবার কাকভোরে এনকাউন্টারের গুলি করে মারলো তেলেঙ্গানা পুলিশ। এদিকে যমে-মানুষে টানাটানি চলছে  উন্নাওয়ের ২৩ বছরের নির্যাতিতাকে নিয়ে। পুড়ে গিয়েছে শরীরের ৯০ শতাংশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লিতে। 

নির্যাতিতা তরুণীকে প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল উন্নাওয়ের জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে আনা হয় লখনউয়ের সিভিল হাসপাতালে। উন্নাও, লখনউ, কানপুর ঘুরে শেষপর্যন্ত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে শেষপর্যন্ত তাঁকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা  ৯০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ এই রোগীর পক্ষে অত্যন্ত সংকটপূর্ণ বলেই হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানান হয়েছে। 

৯০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হলেও জ্ঞান রয়েছে ওই তরুণীর। তাঁর ব্লাড প্রেশার এবং পালস রেটও স্বাভাবিক বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল যখন তাঁকে আনা হয় তার তুলনায় অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক নেগি। তবে ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ওই নির্যাতিতা। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে লখনউতে ২৪ কিলোমিটার গ্রিণ করিডর করে বিমানবন্দের নিয়ে আসা হয় নির্যাতিতাকে। উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে গত মার্চে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করে এক তরুণীকে। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। বাকি দুজন এখনও ফেরার।

জামিন পেয়ে বেরিয়ে দুই অভিযুক্ত বন্দুদের নিয়ে ফের ধর্ষিতার গ্রামে যায়। গ্রামের বাইরে একটি ধানখেতে নিয়ে গিয়ে তাংর গাঁয়ে পেট্রল ঢেলে আগুল ধরিয়ে দেওয়া হয়। 

Share this article
click me!