'এক টাকা নিয়ে যান', মৃত্যুর ঠিক আগে কুলভূষণ মামলার আইনজীবীকে ফোন সুষমার

  • কুলভূষণ মামলার আইনজীবী হরিশ সালভে
  • মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ফোন করেন সুষমা
  • পারিশ্রমিক বাবদ এক টাকা নিয়ে যাওয়ার আর্জি
  • এর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর
     

debamoy ghosh | Published : Aug 7, 2019 7:36 AM IST / Updated: Aug 07 2019, 03:30 PM IST


প্রথমে কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করে লিখলেন, 'এই দিনটা দেখার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।' তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আইনজীবী হরিশ সালভেকে ফোন করে কুলভূষণ মামলায় লড়ার জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে এক টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সুষমা স্বরাজ। মৃত্যুর মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর এই দু'টি কাজই যেন নাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর গুণমুগ্ধ এবং পরিচিতদের।

সুস্থ, স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও কেন মৃত্যুর আগেই তিনি বললেন, এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম! কেনই বা বুধবার এসে অতি অবশ্যই কুলভূষণ মামলার পারিশ্রমিক নিয়ে যাওয়ার জন্য হরিশ সালভেকে জোরাজুরি করলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী? এর উত্তর কোনওদিনই পাওয়া যাবে না। 

আরও পড়ুন- 'এই দিনটি দেখার অপেক্ষাতেই ছিলাম', মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েই চিরঘুমে সুষমা

আরও পড়ুন- সুষমাকে শেষ শ্রদ্ধা, চোখের পাতা ভিজল প্রধানমন্ত্রীর,দেখুন ভিডিও

আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন হরিশ সালভে। জানা গিয়েছে, এই মামলার পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি মাত্র এক টাকা নেবেন বলে জানান। শেষ পর্যন্ত সম্প্রতি ওই মামলায় জয় হয় ভারতের। রদ হয়ে যায় কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড। কুলভূষণ মামলা যখন আন্তর্জাতিক আদালতে গড়িয়েছিল, তখন বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সুষমা স্বরাজই। 

হরিশ সালভে নিজেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ৮.৫০ নাগাদ তাঁকে ফোন করেন সুষমা। ফোনে তিনি সালভেকে বলেন, বুধবার এসে যেন তিনি তাঁর পারিশ্রমিক বাবদ এক টাকা অবশ্যই নিয়ে যান। সালভে জানিয়েছেন, 'খুব আবেগমথিক কথা হয়েছিল সুষমাজির সঙ্গে। উনি আমায় ফোন করে জোর করেই বললেন, আমি যেন অবশ্যই বুধবার সন্ধে সাতটার সময় ওঁর বাড়িতে গিয়ে এক টাকা নিয়ে আসি। আমি ওঁকে বললাম, অবশ্যই আসব। ওই এক টাকা আমার কাছে ভীষণ মূল্যবান। ওটা আমাকে নিতেই হবে।'

সেই সুযোগ অবশ্য আর পেলেন না সালভে। কারণ. তাঁকে ফোন করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন সুষমা। দ্রুত তাঁকে এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জীবনাবসান হয় তাঁর। 

Share this article
click me!