স্তব্ধ কাশ্মীরে ইন্টারনেট চালু শুধু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার! সাসপেন্ড দুই বিএসএনএল অফিসার


গত ৪ অগাস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু টানা চারদিন ইন্টারনেট ও ল্যান্ডফোন পরিষেবা চালু ছিল সৈয়দ আলি শাহ গিলানির। তাঁকে এই সুবিধা করে দিয়েছিলেন বিএসএনএল-এর দুই অফিসার। তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।

amartya lahiri | Published : Aug 19, 2019 1:40 PM IST

গত ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করেছিল মোদী সরকার। তার আগের দিন অর্থাৎ ৪ অগাস্ট থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গোটা উপত্যকায় যখন যোগাযোগ স্তব্ধ, তখন টানা চারদিন ইন্টারনেট ও ল্যান্ডফোন পরিষেবা উপভোগ করেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। আর তাঁকে এই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অপরাধে সাসপেন্ড হলেন দুই বিএসএনএল অফিসার। 

গত ৪ অগাস্ট থেকে ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লার মতো প্রাক্তন প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীরের প্রায় শতাধিক প্রথম সারির নেতাদের গৃহবন্দী করা রাখা হয়েছে। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না সংবাদমাধ্যমকেও। গোটা উপত্যকাতেই বন্ধ রাখা হয়েছিল যোগাযোগ পরিষেবা। কিন্তু এরমধ্যেই ইচ্ছেমতো ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে গিয়েছেন চরমপন্থী নেতা গিলানি।

সবচেয়ে বিস্ময়কর হল প্রশাসনের এই সম্পর্কে কোনও ধারণাও ছিল না। ৮ তারিখ সৈয়দ গিলানি একটি টুইট করার পর জানা যায় তাঁর ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা চালু আছে। এরপর টুইটার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে গিলানি-সহ ৮টি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ওই হ্যান্ডেলগুলি সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয়। এরপরই  কীভাবে ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা পেলেন তাই নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। তাতেই জানা যায় ওই দুই বিএসএনএল অফিসারের গিলানির সঙ্গে যথেষ্ট দহরম মহরম রয়েছে এবং তারাই তাঁর যোগাযোগ পরিষেবা চালু রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এরপরই ওই দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

 

Share this article
click me!