প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে তাজমহলের মূল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে একটি রেলিং। কিন্তু ভালোবাসার এই সৌধটির মূল কাঠামোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেও জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভয়ঙ্কর ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাজমহলের একাংশ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত মার্চ মাস থেকেই বন্ধ রয়েছে তাজমহল। প্রশাসনের তরফ থেকে জানা হয়েছে, প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে তাজমহলের মূল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে একটি রেলিং। প্রত্নতত্ত্ববিদ বসন্ত কুমার স্বর্ণকার জানিয়েছেন, বালির তৈরি একটি পাঁচিল ভেঙেগেছে। যা মূল কাঠামোর অংশ ছিল। কিন্তু ভালোবাসার এই সৌধটির মূল কাঠামোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মূল গেটের ভিত্তিপ্রস্তরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান হয়েছে। অন্যদিকে তাজমহল দর্শনে আসা পর্যটকদের সুবিধের জন্য একটি মার্বেল রেলিং তৈরি করা হয়েছিল সেটিও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানান হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে মেরামতির কাজ।
১৬৩১ সালে মোঘল সম্পাট শাহজাহান তাঁর প্রিয়তম বেগম মমতাজের উদ্দেশ্যে এই স্মূতি সৌধ নির্মান করেছিলেন। বিশ্বের সপ্তম আশ্চার্যের একটি হল এই তাজমহল। প্রতি বছর প্রচুর মানুষ আসেন তাজমহলের অপূর্ব নির্মানশৈলী দর্শনে।
গত শুক্রবার প্রবল বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয় উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। উত্তর প্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছেন বজ্রাঘাত ও প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় প্রতি বছরই জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে বর্ষার মরশুমে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। যা বহু মানুষেরই প্রাণ নেয়।