ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য প্রহর গুণছিল আরেক ভাই। অসুস্থ ভাইকে রাতভর ফ্রিজার বক্সে রেখে দিতেও দ্বিধা করেনি। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী রইল তামিলনাড়ুর সালেম। যদিও বুধবার সকালে ৭৪ বছরের বালসুব্রামানিয়া কুমারকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে সালেমের সরকারি হাসপাতালে।
এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন বালাসুব্রমানিয়া। দিন কয়েক আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। বাড়িতে ফেরার পরই তাঁর ভাই একটি ফ্রিজার বাক্স ভাড়া করেন। আর সেই বাক্সের মধ্যেই পুরে রেখে দেন দাদাকে। বুধবার সকালে ফিজ্রার বাক্সটি ফিরত নিতে আসে সংস্থার এক কর্মী। আর সেই বাক্স খুলতেই অবাক হয়ে যান তিনি। দেখেন বাক্সের ভিরতে থাকা মানুষটি তখনও জীবিত রয়েছে। ধীর গতিতে চলছে শ্বাস প্রশ্বাস। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। স্থানীয় প্রশাসনই উদ্ধার করে অসুস্থ ব্যক্তিকে। ৭২ বছরের বালসুব্রমানিয়া তাঁর ভাই আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক বোনের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। গত দুমাস ধরে তিনি শয্যাসায়ী ছিলেন। পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে ফেরার পরই তাঁর ভাই রাতের অন্ধকারে তাঁকে ফ্রিজার বাক্সে পুরে দেন। তারপর থেকে শুরু হয় মৃত্যুর প্রহর গোনা।
যদিও পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন সে ভেবেছিল তার দাদা মারা গেছে। তাই ফ্রিজার বাক্সে রেখে দিয়েছিল। বুধবার সকালে শেষকৃত্য করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ বালাসুব্রমানিরার পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৭ (মানবজীবন বিপন্ন করার জন্য অবহেলা) আর ৩৬৬ (অন্যদের জীবনকে বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় বিপন্নকারী) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।