শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও শেষবার বোনকে ফোন করলেন! ১০০ নম্বর ডায়াল করতে পারতেন। হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মেহমুদ আলির। মন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়া বিতর্কে ঝড় উঠেছে।
তেলেঙ্গানার সাধনগরের একটি পশু হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন নির্যাতিতা। বুধবার রাতে যখন স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি, তখন মাঝরাস্তায় একটি টোলপ্লাজার কাছে স্কুটিটি খারাপ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বোনকে ফোন করেন ওই পশু চিকিৎসক। বলেন, স্কুটি খারাপ হয়ে গিয়েছে, বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। যদি কেউ সাহায্য করে! সেই আশাতেই ওই পশু চিকিৎসককে টোল প্লাজাতেও অপেক্ষা করতে বলেন তাঁর বোন। টোলপ্লাজায় অপরিচিত লোকের ভিড় দেখে তিনি যে ভয় পাচ্ছেন, সেকথা তখনই বোনকে জানিয়েছিলেন ওই পশু চিকিৎসক। নির্যাতিতার বোনের দাবি, সেই শেষবার ফোনে কথা তাঁদের। এরপর যতবারই ফোন করেছেন, ততবারই সুইচড অফ পেয়েছেন। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাধনগর থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে একটি ব্রিজের নিচে পুলিশ ওই পশু চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে জানা গিয়েছে। ঘটনার শোরগোল পড়েছে। মামলাটি ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলাটি তুলে অভিযুক্তদের দ্রুত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন তেলেঙ্গানা পুলিশের ডিডি মহেন্দর রেড্ডি।
এদিকে রাজ্যে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে, তখন বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মেহমুদ আলি। তিনি বলেন, 'এই ঘটনায় আমরা দুঃখিত। পুলিশ সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। কিন্তু এটা খুবই দুঃখজনক, 'শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বে উনি ১০০ ডায়াল না করে বোনকে ফোন করলেন! যদি ১০০ নম্বর ডায়াল করতেন, তাহলে ওঁকে হয়তো বাঁচানো যেত।' সমালোচনার মুখে পরে আবার নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।