দেশজুড়ে ধর্মস্থান খুলতেই করোনা ভীতি ভুলে উপচে পড়ল ভিড়, স্রোতের বিপরীতে হাটলো ওড়িশা

  • দেশে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে আনলক ১
  • এই পর্বে একাধিক নিয়ম শিথিল করেছে সরকার
  • তার অংশ হিসাবে আজ থেকে খুল গেল ধর্মস্থআনের দরজা
  • সকাল থেকেই মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বারে ভক্তদের ভিড়

Asianet News Bangla | Published : Jun 8, 2020 2:57 AM IST / Updated: Jun 08 2020, 08:32 AM IST


৮ জুন থেকে দেশে ২ মাসের বেশি চলা লকডাউন পরিস্থিতি অনেকটাই শিথিল হবে তা আগেই ঘোষণা করেছইল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো সোমবার থেকেই দেশজুড়ে খুলে গেল শপিংমল, রেস্তোরাঁ, মন্দির ও অন্যান্য ধর্মস্থানগুলি। শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি সমস্ত জায়গাতেই এই সিবধা মিলছে। 

গত ২৪ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকে বন্ধ ছিল দেশের সমস্ত ধর্মস্থানের দরজা। এদিন মন্দির খুলতেই ভিড় জমাতে থাকেন পূণ্যার্থীদের দল। ভোর বেলায় রাজধানীর গৌরি চক মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা। 

 

দিল্লির কল্কাজী মন্দিরে চোখে পড়ল একই দৃশ্য। 

 

রাজধানীর আরও এক মন্দির ঝাণ্ডেওয়ালেতেও ছিল একই চিত্র। 

 

এদিন খুলেছে সব ধর্মস্থানগুলি। দিল্লির বাংলা সাহিব গুরুদ্বারেও হাজির হয়েছিলেন ভক্তরা। 

 

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে চামুন্ডা মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিল খুদে ভক্তরাও। 

 

কর্ণাটকের দেখা গেল একই ছবি। সকাল থেকেই বেঙ্গালুরুর শ্রী ডোড্ডা গণপতি মন্দিরে চোখে পড়েছে ভক্তদের ঢল। 

 

গোরখপুরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন স্বয়ং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। 

 

দিল্লির জামা মসজিদের দরজাও দীর্ঘদিন পর এদিন খোলা হয়। এবার লকডাউনের কারণে ঈদের নামাজও অনুষ্ঠিত হয়নি এখানে। 

 

দীর্ঘদিন পর লখনউয়ের ইদগা মসজিদে নামাজ পড়তে এসেছিলেন অনেকেই। 

 

দেশে ক্রমে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় মন্দির খুললেও সামাজিক দূরত্বের বিধি যাতে বজায় থাকে তারজন্য নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। তার অংশ হিসাবে মন্দিরে ঢোকার মুখে হাত ও পা ভালো করে ধুতে হবে। প্রসাদ বিতরণ করা যাবে না মন্দিরের অন্দরে। জল ছিটিয়ে যেভাবে আশীর্বাদ দেওয়া হয় তাও বন্ধ। এছাড়া বিগ্রহের পা ছুঁয়ে প্রণাম করা যাবে না। গাড়ির ভিতরে জুতো খুলে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। 

এদিকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে সোমবার থেকে মন্দির সহ সমস্ত ধর্মস্থআন খুলে দেওয়া হলেও ওড়িশা সরকার নিজের রাজ্যে এই নিয়ম বলবৎ করছে না। আপাতত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত ধর্মস্থানের দরজা বন্ধ থাকবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের প্রশাসন। একই পথে হেঁটে গোয়া ও কেরলেও বন্ধ থাকছে কিছু ধর্মস্থান। 

 

Share this article
click me!