
রবিবার রাজস্থানের বারিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে টেম্পোর সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১১ জন । নিহতদের মধ্যে আট শিশুও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাক-বিবাহের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সুনিপুরের কাছে ঘটনাটি ঘটে জাতীয় সড়কের ধারে যাত্রীদের। নিহতদের মধ্যে ৫ নাবালক ৩ নাবালিকা, ও ২ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা বলে জানা গিয়েছে।
রাজস্থানের ঢোলপুরে ১১ বি জাতীয় সড়কের সুনিপুর গ্রামের কাছে একটি বাসের সঙ্গে রিকশার টেম্পোর সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ থেকে ১২ জন। পুলিশ সব লাশ বারী হাসপাতালের হিমঘরে রেখেছে। নিহতরা বারাউলি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে।
রাজস্থানের ঢোলপুর জেলার বারি সদর থানা এলাকার ১১বি জাতীয় সড়কের সুনিপুর গ্রামের কাছে রাত ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি স্লিপার কোচ বাস টেম্পোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে আট শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত সূত্রে জানা গেছে, বারী শহরের করিম কলোনির গুমত মহল্লার বাসিন্দা নাহনুর ছেলে গফুর খান সারমথুরা থানা এলাকার বারাউলি গ্রামে পরিবারের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। শনিবার রাতে বাড়ির সব সদস্য টেম্পোতে করে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় সুনিপুর গ্রামের কাছে একটি দ্রুতগামী স্লিপার কোচের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বারি কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ শিব লাহরি মীনা জানিয়েছেন, নাহনু ও জাহিরের পরিবারের সদস্যরা বারাউলি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ির অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনায় স্লিপার কোচ বাসের চালক ও কন্ডাক্টরও আহত হয়েছেন। নিহতদের সবার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে এবং রোববার তাদের ময়নাতদন্ত করা হবে। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়ির দখল নিয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে। খবর পেয়ে বারির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কমল কুমার জাঙ্গিদ, ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর দুর্গা প্রসাদ মিনা, সার্কেল অফিসার মহেন্দ্র কুমার মিনা ও বারি সদর থানার ইনচার্জ বিনোদ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।