ইন্দোরের পুলিশ সুপার ভগবত সিং বিরদে বলেছেন যে সিমরোল এলাকার একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বছর ৫৪-এর বিমুক্তা শর্মার গায়ে পেট্রল ঢেলে দেয় ২৪ বছরের এ.কে. শ্রীবাস্তব।
বীভৎস, মর্মান্তিক! যে বিশেষণই দিন না কেন, এই ঘটনার কোনও ব্যাখ্যাই হয় না। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে যে চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে গোটা দেশ স্তম্ভিত। ইন্দোরের একটি বেসরকারি কলেজে প্রাক্তন ছাত্রের কীর্তিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই ছাত্র মহিলা অধ্যক্ষের গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে বলে খবর। ওই মহিলা অধ্যক্ষ এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ওই মহিলার শরীর ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের সিমরোল থানা এলাকায়। তবে অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ কী বলছে
ইন্দোরের পুলিশ সুপার ভগবত সিং বিরদে বলেছেন যে সিমরোল এলাকার একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বছর ৫৪-এর বিমুক্তা শর্মার গায়ে পেট্রল ঢেলে দেয় ২৪ বছরের এ.কে. শ্রীবাস্তব। এরপর তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বীরদে বলেন, ওই মহিলা ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মহিলা অধ্যক্ষ বক্তব্য দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।
কী কারণে এমন ঘটনা
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে অধ্যক্ষ ও ওই ছাত্রের মধ্যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে সোমবার দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিমুক্তা শর্মা বিএম কলেজ অফ ফার্মেসি, ইন্দোরের অধ্যক্ষ। কলেজ শেষ হওয়ার পর গাড়িতে বসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন। এরপর অতর্কিতভাবে বসে থাকা অভিযুক্ত ছাত্র তার ওপর হামলা চালায় এবং বোতল থেকে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গাড়ি ও পেট্রোলের কারণে দ্রুত আগুন লেগে যায়। উপস্থিত লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। ওই অধ্যক্ষের শরীর ৮০ শতাংশের বেশি পুড়ে যায়। অন্যান্য ছাত্রদের সহায়তায় অভিযুক্তকে ধরে পুলিশে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে শ্রীবাস্তব পার্শ্ববর্তী উজ্জয়ন জেলার বাসিন্দা এবং তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই ঘটনায় শ্রীবাস্তবের হাতও পুড়ে গেছে এবং অভিযুক্তকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র বিরোধের কারণে এই ঘটনা ঘটাল কেন ওই প্রাক্তন ছাত্র, তা জানার চেষ্টা চলছে। মহিলা অধ্যক্ষের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্রের বয়ান নেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।