বিয়ে বাড়ির বেশ ভালোই প্রস্তুতি নিয়েছে কনেপক্ষ। ঠিক সময়ে হাজির পাত্রপক্ষ। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। বরপক্ষ আর কনেপক্ষ একসঙ্গে বসে আড্ডাও দিচ্ছিল। কিন্তু তাল কাটল হঠাৎ করেই। কোনও একটা বিষয়ে আলোচনাতে দুই পক্ষের মধ্যে মত বিরোধ লেগে যায়। সেখান থেকেই শুরু হয়হাতাহাতি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, তিন জনকে আহত হন। নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। ডাকতে হয় পুলিশকেও।
আরও পড়ুন ভাল রাস্তায় বাড়ে দুর্ঘটনা, 'অকাট্য' যুক্তি দিলেন অসমের বিজেপি সাংসদ
কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটল যে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হল, ঘটনা হাতাহাতি পর্যায়ে চলে গেল তেলেঙ্গানার কোদাদ থানার পুলিশ আধিকারির শিবরাম রেড্ডি বলেছেন, গ্রামে বিয়ে শোভাযাত্রা বের হওয়া নিয়ে পাত্রপক্ষের সঙ্গে কনে পক্ষের হাতাহাতি হয়ে যায়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় একপক্ষ অন্যপক্ষকে চেয়ার ছুড়ে মারে। ঘটনায় তিন জন আহত হন। রেড্ডি জানিয়েছেন, আঘাতের পরিমাণ গুরুতর নয়। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আসে বলে জানা গিয়েছে। তাই বেশি দূর এগোয়নি বলে অন্যান্য গ্রামবাসীরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন ইনস্টাগ্রামে খুল্লম-খুল্লা চলছে নারী পাচার, কেনাবেচা হচ্ছে যৌনদাসী
এতো গেল পাত্রপক্ষ আর কনে পক্ষের কথা। কিন্তু যাদের বিয়ে হচ্ছে, সেই বর কনের কী অবস্থা হল। ২৯ অক্টোবর যখন পাত্রপক্ষ আর কনে পক্ষ মারামারিতে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময়ই পুরোহিতের উপস্থিতিতে বর কনে বিয়ে করে নেন। পুলিশ অবশ্য দুই পক্ষকেই থানায় অভিযোগ জানানোর কথা বলেছিল। শুক্রবার কোদাদ থানায় পাত্রপক্ষ ও কনে পক্ষ সদলবলে উপস্থিত হয়। তবে কী পুলিশকে সাক্ষী রেখেই ফের হাতাহাতি শুরু করবেন নাকি। কিন্তু সে সব কিছু না করেই তাঁরা জানান, আর থানায় অভিযোগ করবে না। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে নিয়েছে। অন্যপাশে বর-কনেও সুখে শান্তিতে ঘর করতে চাইছে। শুভ পরিণয় না হলেও বিয়ের পরে শুভ নিষ্পত্তিতে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন সকালে।