ত্রিপুরাতে (Tripura) গ্রেফতার (Arrested) টিএমসি নেত্রী (TMC Leader) সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। প্রতিবাদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) । দিল্লিতে তড়িঘড়ি ডাকা হল সংসদীয় কমিটির (parliamentary committee) বৈঠক। দিল্লি উড়ে গেলেন টিএমসি সাংসদরা (TMC MP)।
ত্রিপুরায় (Tripura) বারবার তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তো ছিলই। কিন্তু বাংলার শাসক দলের প্রতিবাদের সুর সপ্তমে ওঠে ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) গ্রেফতারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। খুনের চেষ্টার অভিযোগে আগরতলায় গ্রেফতার করা হয় সায়নীকে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার পরই প্রতিবাদে গর্জে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরার গণ্ডি পেরিয়ে এই প্রতিবাদের ঢেউ রাজধানীর বুকে নিয়ে যাওয়ার তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবারই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)। তার আগেই সব সাংসদকে দিল্লি পৌঁছতে বলা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির (parliamentary committee)বৈঠকও ডাকা হয়েছে।
তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকায় রাতেই রবিবার রাতেই দিল্লির উদ্দেশ্য়ে পাড়ি দেয় তৃণমূলের সাংসদরা। একে একে বিমানবন্দরে দেখা যায় শুখেন্দু শেখর রায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, শান্তনু সেন ,দোলা সেন, সৌগত রায়রা। ঢোকারে আগে সকলেই একযোগে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে তুলোধনা করেন। দিল্লির উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, 'ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বলে কোন বস্তু নেই। ওরা আবার এখানে এসে বড় বড় কথা বলেন।' দোলা সেন বলেন,'সিপিএমের সময় আমরা অনেক মার খেয়েছি। ওরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন জানে না। ত্রিপুরাতে আমরা মার খাবো। কিন্তু যেভাবে সিপিএমকে এখানে সরানো হয়েছে। ওখানেও হবে। আমরা তো ওখানে চুনপুটি। তাহলে এত ভয় কিসের। ওদের ভয়ে পা কাঁপছে।' সৌগত রায় বলেন, ত্রিপুরা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানাতেই দিল্লি যাত্রা। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি ত্রিপুরায় যে অসভ্য,বর্বর সরকারের একটা বর্বর পদক্ষেপ। আমরা নেত্রীর নির্দেশে কাজ করব।' এছাড়া অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরা বলেন, সোমবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা আছে তাই বিপ্লব দেবের পা কাঁপাচ্ছে। তাই পুলিশের সামনে মারধর করা হচ্ছে। আমাদের বৈঠক আছে ডাকা হয়েছে। আমরা সেখানে যাচ্ছি। সেখানে গিয়েই বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে সাংসদরা সর্বসম্মতিক্রমে ত্রিপুরায় কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ও সায়নীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মমতার উপস্থিতিতে সাংসদরা তাঁকেও এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানাতে পারেন। সন্ধ্যায় তৃণমূল সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চেয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। সঙ্গে সোমবার দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচিও করবেন তৃণমূল সাংসদরা। মোট ১৫ জন তৃণমূল সাংসদ দেখা করবেন অমিতের সঙ্গে। ফলে ত্রিুপুরা কাণ্ডে যে তৃণমূল বিপ্লব দেব সরকারকে একেবারে ছেড়ে কথা বলবে না, তা রাতারাতি সাংসদদের দিল্লিতে ডাকার ঘটনায় স্পষ্ট।