কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতর থেকেই তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়কদের তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রিজন ভ্য়ানো তোলা হয়েছে।
কৃষিভবনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেখা পেলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতর থেকেই তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়কদের তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রিজন ভ্য়ানো তোলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। অভিযোগ একাধিক তৃণমূল নেতার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নিয়েছে অমিত শাহের পুলিশ।
রাজ্যের জব কার্ড হোল্ডারদের লেখা চিঠি নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকে যান অভিষেকরা। সেখানে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের অভিযোগ জানাতে চান তৃণমূলের নেতারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাদের সেখানে বসিয়ে রাখা হয়। তারপর মন্ত্রেকের প্রতিমন্ত্রী প্রজ্ঞা নিরঞ্জন জানিয়ে দেন তিনি দেখা করতে পারবেন না। তারপরই পাল্টা তৃণমূল নেতারা বলেন, তাঁরা মন্ত্রীর সঙ্গে না দেখা করে সেখান থেকে যাবেন না। দীর্ঘ সময় তারা সেখানেই অপেক্ষা করেন। তারপরই আচমকা দিল্লি পুলিশ এসে অভিষেকদের তুলে নিয়ে যায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা না করার পর তৃণমূলের নেতার কৃষি ভবনের মধ্যেই ধর্নায় বসে। অভিষের একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, প্রতিমন্ত্রী ৬টার সময় দেখা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। যদিও প্রথমে তিনি বলেছিলেন বেলা ১২টার সময় দেখা করবেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি সময় বদল করে জানিয়ে দেন। যাইহোক অভিষেক বলেন ৬টার সময় দেখা করায় সময় দিলেও প্রতিমন্ত্রী প্রজ্ঞা নিরঞ্জন সন্ধ্যে সাড়ে ৭টার সময় জানিয়ে দেন তিনি দেখা করা সম্ভব নয়। কিন্তু এদিন বিকেল ৪টের সময় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের এজেন্ডা ছিল কী করে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা য়ায়। তারপরই অভিষেক বলেন প্রতিমন্ত্রী দেখা না করলে তারা সেখানেই বসে থাকবেন। তারপরই কৃষিভবনে ধর্না শুরু হয়। পরবর্তীকালে সেখানে আসে পুলিশ।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য যন্তর মন্তর থেকে জব হোল্ডারদের চিঠির বোঝা কাঁধে নিয়ে কৃষি ভবনে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। অভিষেকও পিছেয়ে ছিলেন না। তিনিও বঞ্চনার চিঠির বোঝা নিয়ে হাঁটা পথেই কৃষি ভবনে যান। দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না হচ্ছে অভিষেকের নেতৃত্বে।