জমল তামিলনাড়ুর লড়াই, ব্যবধান কমলেও কেরল এখনও বামেরাই এগিয়ে, অসম বিজেপির দিকেই

  • পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও চার রাজ্যে চলছে ভোট গণনা।
  • অসম, কেরল, তামিলনাড়ু ও পদুচেরিতে হচ্ছে ভোটগণনা।
  • প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে অসমে অনেকটা এগিয়ে বিজেপি।
  •  কেরলে অনেকটা এগিয়ে বামদলের জোট এলডিএফ।

 

Asianet News Bangla | Published : May 2, 2021 7:31 AM IST / Updated: May 02 2021, 01:53 PM IST

পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের চার রাজ্যের বিধানসভার ভোট গণনা চলছে। সকাল ৮টে থেকে শুরু হয়েছে গণনা। ভোট গণনার প্রথম তিন ঘণ্টা শেষে দেখা যাচ্ছে কেরলে ক্ষমতায় ফিরছে বাম দলের এলডিএফ। কেরলে প্রতিবার সরকার বদল হয়, কিন্তু ৪০ বছর পর কেরলে মিথ ভাঙার পথে। অসমে বিজেপি জোটের জয় নিশ্চিত দেখাচ্ছে। যদিও গণনার এখনও অনেকটা সময় বাকি। তবে যেদিকে প্রবণতা অসমে ফের বিজেপিই ক্ষমতায় আসছে। তামিলনাড়ুতে পালাবদলের ইঙ্গিত, ভাল শুরু করেছে কংগ্রেস, ডিএমকে জোটের ইউপিএ। পুদুচেরতে ভাল শুরু বিজেপির।

আরও পড়ুন: বেলা ১২তেই ২০০ পার করল তৃণমূল, এখনও পিছিয়ে মমতা - ক্রমে মিলিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া রঙ

অসম (১২৬ আসন)
চলছে গণনা। এসেছে ১২৫টি আসনের ফলের গণনার তৃতীয় রাউন্ড শেষে গণনার ফল। বিজেপি জোট এগিয়ে ৮১টি আসনে, কংগ্রেস ও তার শরিকদলগুলি এগিয়ে ৪৫টি আসনে। সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ৬৪টি আসন।

তামিলনাড়ু (২৩৪ আসন)
এসেছে ২২৬টি আসনের ফলের প্রাথমিক প্রবণতা। ডিএমকে, কংগ্রেস জোটের ইউপিএ এগিয়ে ১৩১টি আসনে, এনডিএ এগিয়ে ৯৯টিতে। ম্যাজিক ফিগার ১১৮। 

 

আরও পড়ুন: ৫ রাজ্য়ে ভোট গণনার মধ্যেই করোনা-মহামারির লাল চোখ, বিশেষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

কেরল (১৪০ আসন)
এসেছে ১৩৯টি আসনের ফলের প্রাথমিক প্রবণতা। বামেদের জোট এলডিএফ এগিয়ে ৮৯টিতে। কংগ্রেসের জোট ইউডিএফ এগিয়ে ৪৬টিতে। বিজেপি এগিয়ে ৪টি আসনে। ম্য়াজিক ফিগার ৭১।  

পুদুচেরি ( ৩০টি আসন) 
বিজেপি জোট এগিয়ে ৯টিতে। কংগ্রেস জোট এগিয়ে ৪টি-তে। ম্য়াজিক ফিগার ১৬।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এই রাজ্যের বিধানসভার ভোট গণনা। করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে অসমের গণনা কেন্দ্রগুলিতে বিশেষ নজর। বিজেপি-র কাছে চ্যালেঞ্জ সরকার ধরে রাখার। ২০১৬ সালে প্রথমবার অসমে সরকার গড়ে বিজেপি। ২০১৯ লোকসভাতেও ফল ভালই হয় বিজেপি-র। এবার নির্বাচনের আগে মনে করা হচ্ছিল বিজেপি অনেকটা এগিয়ে থেকে শুরু করবে। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে, নির্বাচন যত কাছে এগিয়েছিল মনে ততই কংগ্রেস লড়াইয়ে ফিরেছিল। হেমন্ত বিশ্বশর্মার সাংগঠনিক দক্ষতা, আর মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই বিজেপি-র সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কংগ্রেস আবার প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, সিএএ-এনআরসি নিয়ে রাজ্যের মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে জোর প্রচার চালিয়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গ বাদে যে চার রাজ্যে ভোট হচ্ছে সেই চার রাজ্যেই একটা সময় কংগ্রেসের দাপট ছিল। ২০১৬ ভোটের আগে পর্যন্ত অসমে কার্যত কংগ্রেসের একাধিপত্য ছিল। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তরুণ গগৈ পরপর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে ২০১৬ সালে হারটার পর অসমে দুর্বল হয় হাত শিবির। এবার সেখানে ক্ষমতায় ফেরা বড় চ্যালেঞ্জ। শরিক দলগুলির দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস। 

কেরলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতা পরিবর্তন হয়, এবার সেইদিক থেকে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার কথা। ২০১৯ লোকসভায় গোটা দেশে হতাশ করলেও কেরলে চমকপ্রদ ফল করে কংগ্রেস। তবে বুথফেরত সমীক্ষায় কিন্তু অনেকটা পিছিয়ে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র শরিক হিসেবে ক্ষমতায় ফিরতে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। পুদুচেরি নিয়ে অবশ্য আশা কম কংগ্রেসের। দিনের শেষে এই চার রাজ্যে তিনটে জিতলেই বড় জয় মনে করবে কংগ্রেস।

Share this article
click me!