মাইকেল জ্যাকসন হয়ে মুন ওয়াকিংয়ে যেতে চেয়েছিলেন ২৬ বছরের পলক। কিন্তু মাঝআকাশ থেকেই বিদায় নিতে হল তাঁকে।
শনিবার রাতে ইনদৌরে একটি সুইসাইড নোটকে ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা যায়। পুলিশ এসে উদ্ধার করে সেই নোট। কী রয়েছে তাতে. পুরুষ থেকে নারী হতে চেয়েছিলেন রূপান্তরকামী পলক। ওঁর আটবছরের বয়ফ্রেন্ডকে বিয়েও করেছিলেন পলক, মাসচারেক আগে। কিন্তু সব যেন কেমন ওলঢাল হয়ে গেল মাঝপথে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেক্স চেঞ্জ করতে অপারেশনও করিয়েছিলেন পলক। কিন্তু তারপর থেকেই দেখা দেয় সমস্যা। ইউরিনারি সিস্টেমে গোলযোগ, নানা শারীরিক অসুবিধে। আর তারও পক গ্রাস করে আদিগন্ত অবসাদ। আর তার থেকেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন পলক।
কিন্তু কেন?... নিজের মতো করেই সঙ্গী বেছে নিয়েছিলেন পলক। নিজের পছন্দমতোই তো ঘরও বেঁধেছিলেন। তাহলে?...
পাভলভ ইনস্টিট্যুটের সায়কিয়াট্রিস্ট ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করলেন বিষয়টা, "দেখুন এই ধরনের মানুষেরা কিন্তু কেউই খুব একটা ভাল থাকতে পারেন না। সে আপনি শারীরিকভাবেই বলুন কি মানসিকভাবে।" তাহলে কি সেক্স চেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত ভুল? "দেখুন ভুল বা ঠিক কোনওটাই নয়। কাউর কাউর জীবনের কোনও বাঁকে এই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই লক্ষণগুলো দেখতে পেলে চেষ্টা করি তাকে সরিয়ে আনার। কিন্তু একটা পর্যায়ের পর অনেক সময়ে কিছু করার থাকে না। তখন আমরা চাই সে যাতে পরিবর্তিত হয়েই নিজের মতো করে ভাল থাকতে পারে। কিন্তু সমস্যাটা হল অন্য জায়গায়। এখন এই ব্যাপারটাকে এমনভাবে এনকারেজ করা হচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে এটা একটা বৈপ্লবিক আন্দোলন। কিন্তু আদতে কিন্তু বিষয়টা তা নয়।", বললেন ডা. বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, মাইকেল জ্যাকসন থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষ, রূপান্তরকামী এই সেলেবদের জীবন কিন্তু বড়ই ক্ষণস্থায়ী হয়েছিল। বলতে গেলে অকালেই চলে গিয়েছিলেন দুজনে। ঋতুপর্ণকে অনেকরকম ওষুধ খেতে হত। চলত সায়কিয়াট্রিক মেডিসিনও। তাই মনোবিদরা কেউ কেউ মনে করেন, প্রকৃতির বিরুদ্ধে যদি কেউ যান, যেতেই পারেন। কিন্তু বিষয়টাকে এত গ্লোরিফাই করার কিছু নেই।