সিংহ মানুষকে তাড়া করেনি
উল্টে মানুষই তাড়া করেছিল সিংহ-কে
তার জেরে এখন বিপাকে এক নাবালক-সহ দুই জন
হতে পরে ৩ থেকে ৭ বছরের জেল
পশুদের রাজা বলা হয় সিংহ-কে। সে তাড়া করবে আর বাকিরা পালাবে, সাধারণত এটাই ঘটে থাকে। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক উল্টো। সিংহ-কেই তাড়া করার জন্য এক নাবালক-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন গুজরাতের গির অরণ্যের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। তাঁদের বিরুদ্ধে বনাঞ্চলে দুটি সিংহ-কে হয়রানি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গুজরাত বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল এক নাবালক-সহ দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা একটি মোটরবাইকে করে দুটি সিংহকে ধাওয়া করেছে। মোটর ইঞ্জিনের তীব্র আওয়াজ এবং হর্ণের শব্দে সিংহদুটি দারুণ ঙয় পেয়ে গিয়েছিল। এরপরই ওই ভিডিও নিয়ে তদন্তে নেমেছিল বনভিভাগ। তাতে জামনা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে গির পূর্ব বন বিভাগের তুলসীশ্যাম রেঞ্জের গাদিয়া গ্রামের নিকটে। আর নাবালকটি ছাড়া অন্য বাইক আরোহী স্থানীয় সরসিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনিস পাঠান।
ইউনিস-এর বিরুগ্ধে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনের বিধান অনুসারে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। বিচারপতি তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। কিন্তু, বনবিভাগ সমস্যায় পড়েছে নাবালককে নিয়ে। তার ক্ষেত্রে আইনি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, না কি তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হবে, সেই নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি গুজরাত বন বিভাগ। ব্যবস্থা নিলেও কোন আইনের বিধান অনু,সারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে, সেই বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারতে একমাত্র গুজরাতের গির অরণ্যেই সিংহ দেখা যায়। এশিয়াটিক লায়ন-গুলি অনেকসময় লোকালেও চলে াসে। তবে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে তারা শান্তিতেই সহাবস্থান করে থাকে। তারাও স্থানীয় গ্রামে হামলা চালায় না, স্থানীয় মানুষও তাদের তাড়া করা বা অন্যরকম কোনও হয়রানি করা থেকে বিরত থাকে। তবে তারমধ্যেও কিছু কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর গুজরাত বনবিভাগ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই জাতীয় অপরাধের মামলায় জামিন পাওয়া সহজ নয়। সংরক্ষিত অরণ্যে সিংহদের জ্বালাতন করলে বা হেনস্থা করলে তিন বছরের থেকে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে এবং ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।