শেষ হাসি হাসল হামলাকারীরাই। আগুনই প্রাণ কাড়ল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অগ্নিদগ্ধ যুবতী। হায়দরাবাদের পর এবার উন্নাওয়ের বিচার চেয়ে ফুঁসছে দেশ।
৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার পরই আশঙ্কা করেছিলেন ডাক্তাররা। তড়িঘড়ি উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে নিয়ে আসা হয়েছিল দিল্লিতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ জীবন যুদ্ধে হার মানলেন ওই তরুণী। হায়দরাবাদ গণধর্ষণে চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে খতম করেছে পুলিশ। যার জেরে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে দেশজুড়ে। প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ ট্রাক চালকে বলেই ওদের খতম করতে পেরেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে গণধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য উন্নাও থেকে রায়বরেলি রওনা দিয়েছিলেন উন্নাওয়ের ওই যুবতী। কাকভোরে বিহারের বাইশওয়াড়া স্টেশনের দিকে রওনা হন তিনি। কিন্তু স্টেশন পৌঁছনোর আগেই তার পথ আটকায় হরিশংকর ত্রিবেদী, শুভম, কিশোর, শিবম ও উমেশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে ওই যুবতীর মাথায় আঘাত করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে নির্যাতিতাকে। যন্ত্রণায় মাটিতে কাতরাতে থাকলে গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাকে। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাহায্যর জন্য চিৎকার করতে করতে ছুটতে থাকেন যুবতী। অবশেষে প্রায় এক কিলোমিটার পর তিনি রবীন্দ্রপ্রকাশ সিংয়ের দেখা পান।
উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের গ্রামে গণধর্ষণ করা হয় বছর তেইশের ওই যুবতীকে। নির্যাতিতা বাইরে যাতে মুখ না খোলে তাই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয় আদালতের নির্দেশে গ্রামেরই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও সে কিছুদিনের মধ্যেই জামিনও পেয়ে যায়। অভিযোগ, সেই অভিযুক্তরাই আদালতে যাওয়ার পথে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে।