শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বিলসি এলাকার বাসিন্দা ৭ বছরের এক বাচ্চাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়। রাতে ধ্বংসস্তূপে তার লাশ পাওয়া যায়। মেয়েটি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। পুলিশ মামলা করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজ করছে। শনিবার ভোর ৪টায় ওই এলাকার একটি গ্রামের কাছে অভিযুক্তদের ঘিরে ফেলে পুলিশ। এই সময় তিনি পুলিশের ওপর গুলি চালান। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের পাল্টা গুলিতে অভিযুক্তের পায়ে গুলি লাগে। এর পর পুলিশ তাকে আটক করে। তাকে বিলসি থেকে সিএইচসিতে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও কার্তুজও উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা সকালে সড়ক অবরোধ করে। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করেন তাঁরা।
শুক্রবার বিকেলে বিলসি থানার একটি ওয়ার্ডের ৭ বছরের এক কিশোরী দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিল। এর পর সে নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজছিলেন। পরিবারের সদস্যরাও লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ঘোষণা দিচ্ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই ওয়ার্ডেরই একটি ভগ্নপ্রায় বাড়িতে মেয়েটির রক্তে ভেজা লাশ পাওয়া যায়। তাকে ইট দিয়ে পিষে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসপি দেহাত কে কে সরোজ, সিও বিলসি, ইন্সপেক্টর সহ ফরেনসিক দল। মেয়ের বাবার অভিযোগে পুলিশ ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করেছে।
সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। ২২ বছর বয়সী জানেলাম মেয়েটিকে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছিল। শনিবার ভোরে ওই এলাকার একটি গ্রামের কাছে অভিযুক্তকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। পালাতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। এতে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরপর পুলিশও গুলি চালাতে থাকে। গুলি লাগে জানেলামের পায়ে। পুলিশ তাকে আটক করে। অভিযুক্ত তার অপরাধ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তিনি জানান, মদ্যপ অবস্থায় মেয়েটিকে খুন করেছে।
এই ঘটনায় মানুষ চরম ক্ষুব্ধ। সকালে বিপুল সংখ্যক মানুষ মেয়ের ছবিসহ পোস্টার ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় নামেন। তারা রাস্তা অবরোধ করে। তিনি বলেন, মেয়েটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্তদেরও কঠোর শাস্তি দিতে হবে এবং তার ফাঁসি চাই বলে দাবী তোলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে শান্ত করে।