হাথরস ধর্ষণকাণ্ডে পারদ চড়ছে রাজধানীর রাজনৈতিতে, কী বললেন নরেন্দ্র মোদী, রাহুল আর প্রিয়াঙ্কা

  • হাথরসকাণ্ডে তদন্তের জন্য তৈরি হয়েছে সিট
  • প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে
  • ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
  • দলিতদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রাহুলের 

Asianet News Bangla | Published : Sep 30, 2020 10:28 AM IST

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, হাথরসকাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যেই তদন্তে রিপোর্ট জমা দেবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। দোষীরা শাস্তি পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলার বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই বিষয়ে যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেছেন। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। দোষীরা যাতে ছাড়া না পায় সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তেমনি জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথ। 

উত্তর প্রদেশের গণ ধর্ষণ নিয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি। মঙ্গলবার নির্যাতিতার মৃত্যুর পরই যোগী আদিত্যনাথের বিরোধিতা করে সুর চড়িয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিনও সেই একই ভঙ্গিতে প্রিয়াঙ্কা আক্রমণ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকার আর কোনও নৈতিক অধিকার নেই আদিত্যনাথের।  পাশাপাশি তিনি আরও বলেন নির্যাতিতা মেয়ের মৃত্যুর পর তিনি সন্তান হারা বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখন নির্যাতিতার বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, মেয়ের বিচারের দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। 

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও হাথরসকাণ্ডে মুখ খুলেছেন। পুরো বিষয়টিতে উত্তর প্রদেশ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। বলেছেন উত্তর প্রদেশ সরকার দলিতদের দেখিয়ে দিতে চাইছে তাদের স্থান কোথায়। ২০ বছরের মেয়েটিকে তীব্র নির্যাতন করে চার উচ্চবর্ণের যুবক। তারপর থেকেই মেয়েটির চিকিৎসা চলছিল হাসপাতালে। মঙ্গলবার মেয়েটির মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে দেহ বাড়িতে এলেও শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হন পরিবারের সদস্যরা। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আদিত্যনাথের পুলিশ রাতের অন্ধকারে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন,  ভারতের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর সেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে শেষকৃত্যের অধিকারটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই কাজ খুবই আপত্তিজনক আর অন্যায়। 

Share this article
click me!