আইনের পরও বেলাগাম তিন তালাক! এবার যোগী-রাজ্যে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল

Published : Aug 19, 2019, 01:31 PM IST
আইনের পরও বেলাগাম তিন তালাক! এবার যোগী-রাজ্যে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল

সংক্ষিপ্ত

আইন করেও রোখা যাচ্ছে না তিন তালাক তিন তালাকের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলেন এক মহিলা সেই কারণে তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন  

সুপ্রিম কোর্ট নিষিদ্ধ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার আইন করে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু তারপরেও তিন তালাকের রোগ যাচ্ছে না। এইবার শুধু তিন তালাক নয়, বিরোধিতা করায় ২২ বছরের এক গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল, তাঁর শিশুকন্যার সামনেই।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার, উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তী জেলার এক গ্রামে। মৃতা সইদার বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁর স্বামী মুম্বই থেকেই ফোনে তাঁকে তিন তালাক দিয়েছিল। সেখানেই সে কাজ করত। কিন্তু সইদা তা মেনে নেননি। বদলে তিনি স্থানীয় থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। কিন্তু পুলিশ তাঁর অভিযোগ তো নথিবদ্ধ করেইনি, বরং তাঁকে পরামর্শ দেয় স্বামীর বাড়িতে মানিয়ে নিতে। পরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থানায় এসে দেখা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

সইদাও সেই মতো শ্বশুরবাড়িতে ফিরে এসেছিল। ১৫ অগাস্টের ছুটিতে বাড়ি ফিরে এসে তাঁর স্বামী নাফিস থানার কথা তো শোনেইনি, বরং ফের একবার সইদাকে তিন তালাক দেয় এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। সইদা প্রতিরোধ করতেই তার উপর নির্মম হয়ে ওঠে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ৫ বছরের শিশুকন্য়ার আতঙ্কিত চোখের সামনেই সইদাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

সইদার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুকন্যাটি পুলিশের কাছে তার বয়ান দিয়েছে। সে জানিয়েছে, তার বাবা মায়ের চুলের মুঠি ধরেছিল। আর তার দুই পিসি মায়ের গায়ে কেরোসিন তেল ঢালে। তারপর দাদু-দিদা মিলে দেশলাই জ্বালিয়ে ছুড়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই সইদার মৃত্যু হয়।
পুলিশ এই ঘটনায় পণের জন্য হেনস্থা ও হত্যার অভিযোগ এনেছে নাফিস ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে, কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে তারা জানিয়েছে, গত ৬ অগাস্ট সইদা প্রথমবার যখন স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তখন কেন তাঁর অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হয়নি সেই বিষয়েও তদন্ত হবে।  

 

PREV
click me!

Recommended Stories

'বাবরি মসজিদ হলে পরিণাম ভালো হবে না' হুমায়ুনকে চরম হুঁশিয়ারি শঙ্করাচার্যের
এনডিএ সাংসদদের জন্য মোদীর নৈশভোজ আয়োজন: আঞ্চলিক ও বাজরা সমৃদ্ধ মেনু