অর্ণব গোস্বামীর জামিন মামলা, সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে মহারাষ্ট্র সরকার

  • জামিনের আবেদন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে 
  • অর্ণব গোস্বামীর হয়ে সওয়াল করেল হরিষ সালভে
  • মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বাল 
  • হস্তক্ষেপ না করলে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য শীর্ষ আদালতের 
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 11, 2020 10:11 AM IST / Updated: Nov 11 2020, 05:18 PM IST

২০১৮ সালের পুরনো মামলা বম্বে হাইকোর্টে অন্তবর্তীকালীন জামিন পাননি রিপাব্লিক টিভির অর্ণব গোস্বামী। বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বুধবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চে। অর্ণব গোস্বামীর জামিন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন মুখে পড়তে হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারকে। কোন যুক্তিতে রিপাব্লিক টিভির এডিটর ইন টিফের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে তা নিয়েই মূলত প্রশ্ন তোলা হয়।

অর্ণব গোস্বামীর হয়ে সওয়াল করেন হরিষ সালভে। তাঁর দাবি ছিল পুর্নতদন্তের ক্ষমতার অপব্যবহার করেই অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভার্চুয়াল শুনানিতে মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবি তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বাল। কপিল সিব্বালের সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম জানিয়েছে কেউ বকেয়া টাকার জন্য যদি আত্মহত্যা করে তাহলে কী  তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া বলা যেতে পারে? সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, এফআইআরএর অভিযোগ যদি সত্যও হয়ে থাকে তাহলেও এই বিষয়ে ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা যায় ? এই বিষয় যদি কাউকে জামিন না দেওয়া হয় তাহলে তা বিচারের নামে প্রহসনের নামান্তর মাত্র বলেও মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। 

 

সওয়াল জবাবের সময় সুপ্রিম কোর্টে অর্ণব গোস্বামীর চ্যানেল অর্থাৎ রিপাব্লিক টিভির প্রসঙ্গও উত্থাপন করে। আর সেই সময় বলা হয়, আপনার যদি কোনও চ্যালেন পছন্দ না হয় তাহলে আপনি তা দেখবেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যদি এই মামলায় হস্তক্ষেপ না করে তাহলে আমরা ধ্বংসের পথে হাঁটব। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু সাংবিধানিক আদালতে সেই স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। 

 ২০১৮ সালে অন্বয় নায়েক নামে এক ব্যক্তির পাওয়া টাকা না মিটিয়ে তাঁকে  আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নিহত ব্যক্তি ইন্টিরিটার ডিজাইনার ছিলেন।  নিহত ব্যক্তি সুইসাইড নোটে অর্ণবসহ দুই ব্যক্তির নাম লিখেগিয়েছিলেন। দেবেন্দ্র ফড়নবীশ সরকারের আমলেএই মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উদ্ধব ঠাকরের সরকার  গঠন হওয়ার পর নিহতের মেয়ে ও স্ত্রী এই আবারও তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় অর্ণব গোস্বামীকে। এই মামলাতেই মুম্বইয়ের আলিবাগ আদালত অর্ণব গোস্বামীকে ১৮ই নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। বম্বে হাইকোর্ট অর্ণব গোস্বামীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল। 

Share this article
click me!