শনিবারই উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে চলেছে। সুতরাং ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে নিঃসন্দেহে বিজেপির ভাগ্য নির্ধারণের বছর।
শনিবারই উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে চলেছে। উল্লেখ্য, সতেরো সালের পর উত্তরপ্রদেশে যাবতীয় শক্তিকে পিছনে সরিয়ে পদ্ম ফোটায় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adiyanath)। তবুও গেরুয়া রঙে ছন্দ কেটেছে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটে। তার প্রভাব পড়া নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে দলের অন্দরেও। সুতরাং ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) নিঃসন্দেহে বিজেপির ভাগ্য নির্ধারণের বছর।
স্বাভাবিকভাবেই দেশের সবথেকে বড় রাজ্যে ভোট নিয়ে সাজোসাজো উত্তরপ্রদেশে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের নির্ঘটন্ত প্রকাশ হওয়ার আগেই প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে নতুন স্লোগান তৈরি করেছেন, ইউপি এবং যোগী, সবে মিলে উপযোগী। তবে এই স্লোগানের জবাবে সমাজবাদী প্রার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব বিজেপি শাসিত যোগী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, বর্তমান সরকার ইউপি-র জন্য মোটেই উপযোগী নয়। অনুযোগী অর্থাৎ অকেজো। প্রসঙ্গত, সতেরো সালের পর উত্তরপ্রদেশে যাবতীয় শক্তিকে পিছনে সরিয়ে পদ্ম ফোটায় বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে ৩৯.৬৭ শতাংশ অর্থাৎ ৩১২ আসন পেয়ে উত্তরপ্রদেশে ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রতিষ্ঠা করে কেন্দ্রের বিজেপি। ২১.৮২ শতাংশ অর্থাৎ ৪৭ টি আসন পায় সমাজবাদী প্রার্টি। ২২.২৩ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ টি আসন পায় বিএসপি।
তবে একুশের পঞ্চায়েত ভোটে বেশ নড়বড়ে ফল করে বিজেপি। সেখানে বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে সমাজবাদী প্রার্টি।অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রের বারাণসীতে ভোটের ফলাফলে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে জেলা পঞ্চায়েত ভোটে এগিয়ে রয়েছে সমাজবাদী প্রার্টিই।প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রের বারাণসী এবং সংলগ্ন আজামগড়, মির্জাপুর মণ্ডলের ১০ টি জেলার ৫৫২ টি আসনে সমাজবাদী প্রার্টি ২৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। এদিকে বিজেপি সেখানে পেয়েছে ১৪.৯৪ শতাংশ আসন। ১৪.৫ শতাংশ আসনে জিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিএসপি।
বিজেপির সব থেকে ক্ষতি হয়েছে বারাণসী, জৈনপুর এবং গাজীপুরে। গাজীপুরের ৬৪টি আসনের মধ্য়ে ৩৫ টি আসনই জিতে গিয়েছে সমাজবাদী প্রার্টি। এদিকে বিজেপির কাছে এসেছে ৭ টি আসন। গোরখপুরকে সকলে যোগী আদিত্যনাথের গড় বলেই চেনে। সেই গোরখপুর এবং বস্তি মণ্ডলের জেলা পঞ্চায়েতের সদস্যদের মধ্যে মোট সাড়ে ৩০০ আসন রয়েছে। কিন্তু সেখানেও থাবা বসিয়ে এগিয়ে রয়েছে সমাজবাদী প্রার্টি।সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে জোর হাড্ডাহাডডি লড়াই হতে চলেছে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই।