ভেন্টিলেশনে উন্নাওয়ের নির্যাতিতা, খুনের চক্রান্তের তদন্তে এবার সিবিআই

  • অত্যন্ত সঙ্কটজনক উন্নাওয়ের নির্যাতিতা
  • রবিবার পথ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি
  • নির্যাতিতাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার
  • চাপে পড়ে সিবিআই-কে তদন্তের দায়িত্ব দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার

debamoy ghosh | Published : Jul 29, 2019 1:39 PM IST / Updated: Jul 29 2019, 07:44 PM IST

উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের নির্যাতিতার গাড়ি দুর্ঘটনার নেপথ্যে কি উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের চক্রান্তই দায়ী? এবার সেই তদন্তই করবে সিবিআই। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগও দায়ের করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। রবিবার উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতা পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পরেই সেঙ্গারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছিল। তার পর বিষয়য়টি নিয়ে বিরোধীরাও সরকারের উপরে চাপ তৈরি করায় শেষ পর্যন্ত সেঙ্গার-সহ দশজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। 

উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার গাড়িতে রবিবার রায়বরেলিতে একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা মারে। এর ফলে গুরুতর আহত হন ওই নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবী। মৃত্যু হয় নির্যাতিতার দুই আত্মীয়ার। তাঁদের মধ্যে একজন ধর্ষণ কাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁদের কৃত্রিম জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখতে হয়েছে। নির্যাতিতার মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। 

আরও পড়ুন-উন্নাও ধর্ষণে নির্যাতিতার গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ

রবিবার অন্য একটি মামলায় জেলবন্দি এক আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করতে রায়বরেলীতে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা। মাঝরাস্তায় তাঁদের গাড়িটিতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। এর পরেই নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ করে, ওই যুবতীকে চিরতরে সরিয়ে দিতেই ষড়যন্ত্র করে দুর্ঘটনার ছক কষেছেন সেঙ্গার। পুলিশ অবশ্য প্রথমে এই অভিযোগ মানতে চায়নি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এ দিন সংসদে সরব হন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। রাজ্যেও বিরোধীদের প্রবল চাপের মুখে পড়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। শেষ পর্যন্ত উপরমহল থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক- সহ দশজনের বিরুদ্ধেই নির্যাতিতাকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ২০১৭ সালে ওই নির্যাতিতা যখন নাবালিকা ছিলেন, তখনই নিজের বাড়িতে তাঁকে বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। 

নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, এর আগে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল। জেলে থাকলেও প্রতিনিয়ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার তাঁদের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, জেলবন্দি বিধায়কের কাছে সহজেই পৌঁছে যায় মোবাইল ফোন। ফলে জেলে থেকেও তিনি সহজেই নিজের অনুগামীদের যাবতীয় নির্দেশ দিচ্ছেন। 

Share this article
click me!