সকালেই উত্তর প্রদেশে হিমবাহ ভেঙে তুষারধসে বিপর্যস্ত চামোলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার বিকেলেই তিনি ঘোষণা করেন, প্রাকডতিক বিপর্যয়ের কারণে নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকেই এই ক্ষতিপুরণের অর্থ দেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে কেন্দ্রীয় সরকার পুরোপুরি সহযোগিতা করবে।
অন্য়দিকে বিপর্যস্ত চামোলি জেলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গেই চলছে উদ্ধারকাজ। তপোবনের ড্যাম সংলগ্ন এলাকায় মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে উদ্ধার করা হয়েছে এক আটকে পড়া শ্রমিকদের। সবমিলিয়ে প্রায় ১৬ জন শ্রমিক আটকে ছিলেন টানেলে। উদ্ধারকাজে রীতিমত নাটকী মূহুর্ত তৈরি হয়েছিল। ভারত তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনী জওয়ানরা এই উদ্ধারকাজ চালিয়েছিলেন। তাঁরা সুড়ঙ্গ তৈরি করে দঁড়ি ফেলে একের পর এক আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
এখনও পর্যন ১০জনের মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলেই অনুমান স্থানীয় প্রশাসনের। আইটিবিপির জওয়ানদের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভারতীয় বিমান বাহিনীর জওয়ানরাও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। বিপর্যস্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে কাজে লাগান হচ্ছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানগুলিকে।